এক কাপ চায়ের দামে এক কেজি আলু

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম

এক কাপ চায়ের দামে এক কেজি আলু

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে এক কাপ দুধ চায়ের দাম ১৫ টাকা হলেও বাজারে আলুর দাম ১০-১২ টাকা কেজি হওয়ায় উৎপাদন খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার আলুচাষিরা। এবার বেশি ফলন হলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় চাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।

চুয়াডাঙ্গায় চাহিদার তুলনায় অধিক আলু চাষ করায় বাজারে আলুর দরপতন হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু। প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন কৃষকেরা।

কৃষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় থাকলে আগামী বছর এ চাষ বন্ধ করে দিতে হবে। যদি সরকারিভাবে বাইরের দেশ থেকে আলু আমদানি না করে। বাংলাদেশের কৃষকদের উৎপাদিত আলু বিদেশে রপ্তানি করা যায় তা হলে কিছুটা হলেও কৃষকরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে ।

জীবননগর উপজেলার কন্দপপুর গ্রামের আলুচাষি আব্দুল আজিজ জানান, এ বছর ২৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে এবার ৮০-১০০ মণ আলু উৎপাদন হলেও বাজারে আলুর দাম নেই বললেই চলে। এক বিঘা জমিতে ৬৫-৭০হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু এখন পাইকারি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে প্রতি কেজি ১০-১৩ টাকা দরে। এ দামে আগামী বছর আলু চাষ করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী গ্রামের আলুচাষি খোকন মিয়া বলেন, এ বছর লিজ নেওয়া ও নিজের জমি দিয়ে ১০ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছিলাম। কিন্তু তোলার মুখে আলুর বাজারে এভাবে ধস লেগে যাবে এটা বুঝতে পারিনি । আলুর দাম যদি বৃদ্ধি না হয় তা হলে একদম পথে বসে যাবো ।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জীবননগর উপজেলায় চাহিদার তুলনায় অধিক আলু চাষ করায় বাজারে আলুর দরপতন হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে আলু।

চলতি মৌসুমে জীবননগর উপজেলায় ৯৭০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষকেরা। গত বছর জীবননগর উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এ বছর আলুর ফলন ও বেশি  হয়েছে। তবে এ বছর নেপালে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে, সে কারণে আরও একটু আলুর দাম পাবে। 

আরবি/এসআর

Link copied!