কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ২১ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে পরকীয়া প্রেমিকসহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত ভোর রাতে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের চর বড়লই গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী গৃহবধূর সাথে মইনুল হক (২৩) নামের এক যুবকের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরে মধ্যে গত মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে চর বড়লই গ্রামের একটি ইউক্যালিপটাস বাগানে মইনুলের সাথে দেখা করতে যান ওই গৃহবধূ। কিন্তু মইনুল তার আরেক সহযোগী ইয়াকুব আলী (২৫) সাথে যোগসাজস করে আরও ৫ যুবককে সাথে নিয়ে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার রাতে গৃহবধূ মইনুলের সাথে দেখা করতে গেলে ৭ যুবক মিলে গৃহবধূকে ‘ধর্ষণ’ করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বুধবার ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উপজেলার চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের মইনুল হক ও চর বড়লই গ্রামের ইয়াকুব আলীসহ ৫ যুবককে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত অপর তিন আসামি হলেন, চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের হাসানুর রহমান (২০), চর বড়লই গ্রামের সোহেল রানা (২১) ও চর বড়লই হাজীটারী গ্রামের লাল মিয়া (৪০)। মামলায় অভিযুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- চর বড়লই গ্রামের আতিয়ার রহমান (৩৫) ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানার আল আমিন (২০)।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, গৃহবধূর স্বামীর সাথে দাম্পত্য কলহ চলছে। পারিবারিকভাবে তাদের বিচ্ছেদের আলোচনা আছে। তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও খারাপ অভিযোগ নেই।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশীদ জানান, অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাসহ গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।