শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মো. জহিরুল ইসলাম খান লিটন, সাভার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

৫ বছর পর স্বস্তি

সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় চাঁদা দেয়া বন্ধ হল ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীর

মো. জহিরুল ইসলাম খান লিটন, সাভার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় চাঁদা দেয়া বন্ধ হল ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীর

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়া থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য রাজধানীর গুলিস্থান সহ বিভিন্ন মার্কেটে কভারভ্যানযোগে পৌছে দিতে আশুলিয়ার রাকিবুল ইসলাম নামের এক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীকে গুনতে হত দিনে ১৫-১৮ হাজার টাকার চাঁদা। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় এ চাঁদা দেয়া এখন বন্ধ হয়েছে। সে জন্য ওই ব্যবসায়ী সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজীরচটে ওই ব্যবসায়ীর বাসভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম জানান, আশুলিয়ার ‍‍`ফাতেমা ট্রান্সপোর্ট‍‍` এর স্বত্ত্বাধিকারী তিনি। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতার কার্টুন যার আনুমানিক বাজার মূল্য কোটি টাকার উপরে ১২ থেকে ১৫ টি ছোট-বড় কভারভ্যান ও পিকআপের মাধ্যমে সন্ধ্যার পর ডেলিভারি দেওয়ার জন্য রাজধানীর গুলিস্থানে অবস্থান করে। তৎকালীন সরকারে বিভিন্ন নেতা বা কর্মীদের রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে গাড়ি প্রতি ৪ থেকে ৫শ টাকা চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা তাদের ব্যানারে বা বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদা দিতে বাধ্য করা হতো।

যা দেশের অন্য কোন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, মালিক সমিতি বা ফেডারেশনের চাঁদার তুলনায় ২০ গুন বেশি ছিল। ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদা দেয়া বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনীর তৎপরতার বিগত দুইটি মাস ব্যবসায়ীরা ভাল সময় পার করেছে। 

কিন্তু সেখানের কিছু স্থানীয় কতিপয় ভুঁইফোড় ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীরা সিটি করপোরেশনের নামে পুনরায় গাড়ি প্রতি ৬ থেকে ৭‍‍`শ টাকা চাঁদা দিতে গাড়ির চালক ও ম্যানেজারকে বিভিন্নভাবে চাঁপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে নিয়মিত চাঁদা দিতে বাধ্য করেন এবং দিতেও থাকেন। পরে বিষয়টি ক্যাম্প কমান্ডার, মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম বরাবরে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী রাকিবুল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় এক পর্যায়ে চাঁদা বন্ধ হয়। 

ব্যবসায়ী রাকিবুল জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বরাবরে অভিযোগ দেয়ার আগে বিষয়গুলো পুলিশকে অবহিত করা হলেও কোন সুরাহা দিতে পারেনি। তবে সেনাবাহিনী বরাবরে অভিযোগ পেশ করার পরেই চাঁদা দেয়া বন্ধ হয়। এই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে, তাহলে তারা যারা ব্যবসায়ী রয়েছেন শান্তিতে ও নিরাপদে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান তিনি। 

তিনি জানান, সাভার উপজেলায় তিনি ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী হিসেবে নিয়মিত কর দাতা। সে রাজস্বের নিয়ম মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। চাঁদা দেওয়া থেকে পরিত্রাণ পাওয়ায় তাঁর মাঝে ব্যবসায়ীর মাঝে এক প্রকার স্বস্তি ফিরে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে এই জন্য তিনি প্রশাসন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!