ময়মনসিংহের গফরগাঁও মানসিকভারসাম্যহীন স্বামীর ছুরিকাঘাতে মার্জিয়া আক্তার (৩০) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী নাজমুল আলম পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার যশরা ইউনিয়নের কুর্শাপুর গ্রামে। নিহত মার্জিয়া ওই এলাকার নাজমুল আলমের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজমুল আলম (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগে ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসা চলছিল। ঘটনার রাতে তিনি স্ত্রী মার্জিয়ার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে রাতের কোনো এক সময় ছুরি দিয়ে মার্জিয়ার পেটে আঘাত করেন। চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ঘরে ঢুকে দেখেন, মার্জিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন, নাজমুল পাশেই চুপচাপ বসে আছেন। পরে পরিবারের লোকজন মার্জিয়াকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের ভগ্নীপতি নাজমুল মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু সে এমন ভয়ঙ্কর কিছু করতে পারে, তা আমরা কল্পনাও করিনি।
নাজমুলের মা মতিজা বেগম বলেন, ছেলে ও পুত্রবধূ রাতে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিল। হঠাৎ চিৎকার শুনে দরজা ভেঙে দেখি, মার্জিয়া আহত অবস্থায় পড়ে আছে, আর নাজমুল পাশে বসে আছে।
গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত নাজমুল আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আপনার মতামত লিখুন :