ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

বগুড়ায় বাড়িতে ঢুকে সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদরে সাবগ্রাম এলাকায় মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে সাবেক স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে রুবেল হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সাবগ্রাম মধ্যপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ছকিনা ও তার মা আনোয়ারা বেগমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১ মার্চ) ভোরে মেয়ে ছকিনা বেগম (৩৫) এবং পরে মা আনোয়ারা বেগমের (৫৮) মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

নিহত ছকিনার মামাতো ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পরে ছয় বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের আকাশ তারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাকে তালাক দেন। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তার সংসারে ফিরে যান। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ছয় মাস আগে আবারও দুইজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এদিকে মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় দুই শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। একমাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল বাড়িতে গিয়ে মাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করেন রুবেল। এ সময় নানি আমার মাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে পালিয়ে যান রুবেল।


বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, ঘটনা ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির পার্শ্বের বাঁশ ঝাড় থেকে রক্ত মাখা রামদা উদ্ধার করেছে। ভোর ৫টা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম রুবেলকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। নিহত মা-মেয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।