সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেলেন জেলেরা

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) সকাল থেকে বন বিভাগ জেলেদের অনুমতিপত্র দেওয়া শুরু করেছে, যার মাধ্যমে তারা আবার সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া ধরতে পারবেন।

সাতক্ষীরা সুন্দরবন রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসকে কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয় কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম থাকায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ থেকে অনুমতিপত্র দেওয়া হচ্ছে এবং জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন।

নাব্যতা সংকটে বাঘাবাড়ী নৌবন্দর: উত্তরাঞ্চলের কৃষিতে প্রভাব

বিস্তারিত পড়ুন

বন বিভাগ জানায়, প্রজনন সুরক্ষায় এ সময়টায় সুন্দরবনের নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ থাকে। এ জন্য গত ১ জানুয়ারি থেকে কাঁকড়া ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এ সময়ের মধ্যে কোন বনজীবীকে কাঁকড়া ধরার অনুমতিপত্র দেয়া হয়নি। তবে লোকালয়ে কাঁকড়া ক্রয় বা বিক্রয় চালু ছিল।

উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের জেলে কাত্তিক দাস বলেন, সুন্দরবনে দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাশ বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে চলতে হয়েছে।

৩০০ মানুষের ভরসা ৩০ ফুট গভীর কূপের একটি চাপা কল

বিস্তারিত পড়ুন

বনজীবী মফিজুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের জলভাগে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। এর মধ্যে শুধু শিলা কাঁকড়া জেলেরা আহরণ করে বিক্রি করেন। উপকূলের জেলে বাওয়ালিরা মূলত সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল। বছরে ১২ মাসের মধ্যে যদি ছয় মাস বন্ধ থাকে, তাহলে আমাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে না। এতে আমরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করি।