ঢাকা রবিবার, ০২ মার্চ, ২০২৫

সেই আ.লীগ নেতা ইসলামী আন্দোলন থেকেও বহিষ্কার

ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ও ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলে রাব্বী আওয়ামী লীগ থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদানের পর সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জন্য তার সদস্য পদ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ময়মনসিংহ জেলা (দ.) শাখার প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. শরীফ হাসানের স্বাক্ষরিত স্মারকে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সদস্যপদ প্রত্যাহার করা হয়।

জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি চরমোনাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক মাহফিলে আওয়ামী লীগ থেকে ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের জন্য প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দের উপস্থিতিতে প্রাথমিক সদস্যপদ পূরণ করেন। পরে তার ফেসবুক প্রোফাইলে তা অস্বীকার করে বিতর্কিত ও অসাংগঠনিক পোস্ট দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। তার কর্মকাণ্ডের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক তার প্রাথমিক সদস্য পদ বাতিল করা হয়।

উল্লেখ্য, জেলার ত্রিশালের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ফজলে রাব্বীর ইসলামী আন্দোলনে যোগ দেয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়। এতে তাকে দলটির কেন্দ্রীয় ও উপজেলার নেতাদের সাথে ফটোসেশন করতে দেখা যায়। ছবিটি ভাইরাল হলে উপজেলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ফসিউর রেজা মন্ডল বলেন, ‘ফজলে রাব্বী চরমোনাইয়ে অনুষ্ঠিত মাহফিলে কেন্দ্রীয় কমিটির লোকজনের সামনে প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেন। এ সময় পটুয়াখালীর রাঙাবালি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্রীয় ও ত্রিশাল কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তার সংগঠন বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।

রাঙাবালি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দীন আহমেদ বলেন, ফজলে রাব্বী স্বপ্রণোদিত হয়ে আমার সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগ দেন। কেউ যদি কোন দলে যোগ দিয়ে পরে অস্বীকার করে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।

এ ব্যাপারে ফজলে রাব্বীর একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।