শ্রীপুরে শ্মশানের মাটি চুরি, বেকায়দায় বিএনপি নেতা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম

শ্রীপুরে শ্মশানের মাটি চুরি, বেকায়দায় বিএনপি নেতা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতের আধারে শ্মশানের মাটি চুরি করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন বিএনপি নেতা।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা উপজেলার কাওরাইদ বাজারের পূর্বপাশে সুতিয়া নদীর পাড়ঘেষে শ্মশান মন্দিরের মাটি চুরির সময় ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ  স্থানীয় জনতার তোপের মুখে পড়েন। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ কাওরাইদ ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় কাওরাইদ শ্মশান মন্দিরের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদ ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রভাষক তমাল ক্রান্তী দেবনাথ, শ্মশান মন্দিরের সভাপতি কনক ক্রান্তি দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক বাবুল সাহা ও কাওরাইদ বাজারের ব্যাবসায়ী সুদীপ চন্দ্র রায় সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত হয়। এসময় ৯৯৯ ফোন দিলে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেকু ও ড্রাম ট্রাক আটক করে। প্রভাষক তমাল ক্রান্তি দেবনাথ বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি মাটি খেকুরা শ্মশান মন্দিরের পাড় ঘেষে সুতিয়া নদী থেকে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটছে।বাধা দিলে ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ এসে বলে নদী থেকে মাটি কাটছি আপনার অসুবিধা কি? সরকারি কাঝে বাধা দিবেন না। আমি ৯৯৯ এ ফোন দেই। এসময় পুলিশ ও শ্মশান ঘাটের সভাপতি সহ সবাই চলে আসলে মাটি কাটা বন্ধ হয়।

শ্মশান মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বাবুল সাহা জানান, ২ শ গাড়ি মাটি কাটার ঠিকাদারি নিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা শুরু করেছিলো। তিন ড্রাম ট্টাক নেওয়ার পরই ধরা পরে যায়। বিএনপির নেতাদের কাছে ভেকু ও ড্রাম ট্রাকের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্মশান মন্দিরের সভাপতি কনক ক্রান্তি দেবনাথ বলেন সকল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আবদুল্লাহ ভুল স্বীকার করেছে। ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না বলে ক্ষমা চেয়েছে। আমরাও ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শেষ করেছি।আমরা এরকম নিন্দনীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।

কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এমদাদ হোসেন মন্ডল জানান,আমরা শ্মশানের মাটি কাটা অংশ ভরাট করে দিয়েছি। আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীপুর থানার এএসআই কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।কিন্তু অভিযোগ দেয়নি তারা।

এদিকে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।

শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদিন মন্ডল জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই।

শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ জানাইনি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।  

আরবি/এস

Link copied!