রোজায় দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম

রোজায় দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মাহে রমজান সামনে রেখে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চরম ঊর্ধ্বগতি। বেড়েছে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। রোববার থেকে মুসলমানদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শুরু হচ্ছে। রোজা শুরুর আগের দিনও কাঁচাবাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে দেখা যায়নি। যেই রোজা আসছে সাথে সাথে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হু-হু করে বেড়েছে গেছে। ৪০ টাকার পেঁয়াজ এখন ৭০-৮০ টাকা, লেবুর হালি ছিল ২০ টাকা সেই লেবু এখন হালি ৮০ টাকা।

রাঙামাটি শহরের বনরুপা চৌমুহনী বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের কাঁচা তরিতরকারি, পেঁয়াজ, রসুন, ছোলা, শসা, ডিম এবং ব্রয়লার মুরগিসহ বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা হারে বেড়েছে। তবে অনেকে বলছে গতবারের চেয়ে এ বছর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যে হারে জিনিসপত্রের দাম মানুষের নাগালের বাহিরে ছিল তার থেকে অনেক স্বস্তি মিলছে। বর্তমানে সিন্ডিকেট চক্র না থাকায় ক্রেতারা একটু নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে। তবে রোজার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আরো কম ছিল বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ি নুর আলম বলেন, সোয়াবিন তেল বোতলজাত প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা আর খোলাটা প্রতি লিটার ১৬২ টাকা, ডাল মোটাটা ৮০ টাকা, চিকনটা ১শ’ টাকার মধ্যে। এই রমজানে চিনি’র দাম তেমন বাড়েনি। ডিমের ডজন ১২০ টাকা। চাউলসহ অন্যান্য জিনিসপিত্রের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর দ্রব্যমূল্যের দাম কমেছে অনেকটা।

ক্রেতা মো. শাহাবুল আলম বলেন, রোজা আসার আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম অনেকটা কম থাকে। যেই মরজান আসে সাথে সাথে দাম বৃদ্ধি পায়। যেমন পেঁয়াজ, রসুন, শসা, লেবু, খেজুর, ছোলা, ডাল, চিড়া, মুড়ি ও কাঁচা তরিতরকারির দাম চরম ভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। পৃথিবীর সব দেশে রোজা আসলে সবকিছুর দাম কমে আর বাংলাদেশে সবকিছুর দাম বাড়ে। এখন তো ফ্যাসিস্ট সরকার নাই তাহলে সিন্ডিকেট আসলো কোথায় থেকে।

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র কৃষি বিপনণ কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, এ বছর সবকিছুর দাম স্বাভাবিক আছে মনে হচ্ছে। আহামরি তেমন কোন কিছুর দাম বাড়তে দেখছি না। তবে পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের দাম সীমিত রাখতে জেলা প্রশাসক ব্যবসায়িদের আহবান জানিয়েছেন। তার পরেও কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক সাব জানিয়ে দিয়েছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!