সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ী ও সমন্বয়কদের মারামারির ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১ মার্চ) ভোরে উপজেলার খালকুলায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল ইসলাম।
আহত সমন্বয়করা হলেন– বড়াইগ্রাম উপজেলার আতিকুর রহমান, নুহ হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাটোর সদরের আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান ও ছোট হাবিব। তাড়াশে আহত ব্যবসায়ীরা হলেন– মো. সাইদুর রহমান ও ফিরোজ হোসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বড়াইগ্রাম থেকে সমন্বয়করা সাতটি বাসে প্রায় ২৫০ জন লোক নিয়ে ঢাকায় এনসিপির অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে দুটি বাসের কয়েকজন সমন্বয়ক তাড়াশের খালকুলায় নাশতা করতে নামেন। এ সময় সাইদুর রহমান নামে দোকানি মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি করেন। সমন্বয়করা প্রতিবাদ জানালে তিনি একজনের হাতে রড দিয়ে আঘাত করেন। এ নিয়ে তারা ধাক্কাধাক্কি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে তিনজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের শান্ত করলে সমন্বয়করা ঢাকায় চলে যান। শনিবার ভোরে অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে কয়েকজন সমন্বয়ক একই স্থানে নাশতা করতে যান। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও লোকজন তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারিতে জড়ান। এতে সেখানকার আশা হোটেলে ম্যানেজার ফিরোজ হোসেন ও সাইদুর রহমান এবং সমন্বয়ক আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান এবং ছোট হাবিব আহত হন। এ সময় ব্যবসায়ীরা চারজনকে হোটেলে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করা হয়।
নাটোর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম বলেন, খালকুলার ব্যবসায়ীরা কয়েকজন সমন্বয়ককে মারধর করেছেন। তিনজনের মাথা ফেটে গেছে। আশা হোটেলের ম্যানেজার ফিরোজ হোসেনের ভাষ্য, তুচ্ছ ঘটনায় তাদের মারধর ও দোকান ভাঙচুর করেছে।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল ইসলাম বলেন, সমন্বয়ক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা তাড়াশের সমন্বয়কদের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :