নীলফামারীর ডিমলায় সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে শনিবার (১ মার্চ) আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের ভুট্টা ক্ষেতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি ‘নারী ও শিশু নির্যাতন’ মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস(২৪) ও ছাতনাই দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের নেছার উদ্দিনের ছেলে ছামিউল ইসলাম (২২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর সাথে প্রায়ই অভিযুক্ত ছামিউল মোবাইলে কথা বলতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মোবাইলে ভিকটিমকে বাড়ির পাশে ডেকে নেয় ছামিউল। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা অন্য আসামি কুদ্দুস ছাত্রীটিকে দেখা মাত্রই মুখ চেপে ধরে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে উভয় মিলে ধর্ষণ করে।
অন্যদিকে মেয়েকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ভুক্তভোগীর মা অনেক খোঁজা-খুঁজির পর ভুট্টা ক্ষেতের কাছে গেলে মেয়ের উপস্থিতি টের পায়। তখন অভিযুক্ত ছামিউল ও কুদ্দুস কৌসলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ সময় মায়ের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এবং ঘটনার বিবরণ জানতে পারে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় গত শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ওসি ফজলে এলাহী বলেন, ‘এ ঘটনায় ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। আমরা ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছি।’
