ঢাকা সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫

চুরির অভিযোগে যুবকের চোখ তুলে নিলো এলাকাবাসী

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৫, ১০:০২ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চুরির অভিযোগে ভোলার চরফ্যাসনে শাহাজাহান মিন্টিজ (৪০) নামের একজনের দুই চোখ তুলে ফেলেছে এলাকাবাসী। রোববার (২ মার্চ) সকালে দক্ষিণ আইচা থানার নজরুল নগর ইউনিয়নের চর আরকলমী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় পরে গ্রামপুলিশ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত মিন্টিজ ওই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ‘ছিডু চোরার’ছেলে বলে জানা যায়।

এলাকাবাসীদের দাবি, মিন্টিজ চোর চক্রের সরদার। সে বরাবরই এলাকা জুড়ে চুরি করে থাকে।

তবে মিন্টিজের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেছেন, সন্দেহজনকভাবে তাকে তুলে নিয়ে মারধরের করে হাত-পা ভেঙে দেওয়াসহ দুই চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। মাঝের চর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা লোকমান হোসেনের ছেলে মো. সাকিব এবং তার দলবল এ কাজে জড়িত বলে এ সময় তিনি অভিযোগ করেন।

স্থানীয়রা জানান, মিন্টিজের পরিবার  আগে থেকেই  চুরি-ডাকাতির কাজে জড়িত। বাবা ছিডু ছিলেন পেশাদার চোর। মিন্টিজ ভোলার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িত।

সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক বাড়িতে চুরি হয়। রোববার সকালে মিন্টিজকে চর আরকলমী গ্রামের নিজের বাড়িতে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে এবং জাহাঙ্গীর ফরাজির বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তাকে ওই গ্রামের বারেক ফরাজির বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া এবং দুই চোখ তুলে ফেলা হয়। খবর পেয়ে গ্রাম পুলিশ সোরহাব হোসেন কয়েকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে পাঠান।

মিন্টিজের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা লোকমান হোসেনের ছেলে সাকিবের নেতৃত্বে লোকজন ধাওয়া করে জাহাঙ্গীর ফরাজির বাড়ি থেকে মিন্টিজকে আটক করে। পরে তাকে বারেক ফরাজির বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয় এবং চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে চোখ তুলে ফেলে।’ ঘটনার সময় উপস্থিত থাকলেও ভয়ে পরিচয় দিতে পারেননি বলে জানান তিনি।  

অভিযোগ অস্বীকার করে মো. সাকিব বলেন, ‘মিন্টিজ পেশাদার চোর এবং চোর চক্রের সরদার। স্থানীয়রা তাকে দেখে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণধোলাই এবং চোখ তুলে দিয়েছে বলে শুনেছি।’

চরফ্যাসন হাসপাতালে জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘মিন্টিজ নামের ওই ব্যক্তির হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে ফেলা হয়েছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’

দক্ষিণ আইচা থানার ওসি এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’