বগুড়ায় মা–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫, ১২:২২ পিএম

বগুড়ায় মা–মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা: মামলা দায়ের

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মা-মেয়েকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে বগুড়া সদর থানায় নিহত সখিনা বেগমের ছেলে ছাব্বির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

মা-মেয়েকে হত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে মেয়ে সখিনা বেগমের সাবেক স্বামী রুবেল হাসানকে (৩১) রুবেল হাসান বগুড়া শহরের আকাশতারা মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

গত শুক্রবার রাত ১টায় সখিনা বেগমকে (৩৫) ঘুম থেকে ডেকে তুলে দা দিয়ে কুপিয়ে তার সাবেক স্বামী রুবেল হাসান হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সময় মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সাবেক শাশুড়ি আনোয়ারা বিবিকেও (৮৫) কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারা বিবির মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর সখিনা বেগমের সাবেক স্বামী রুবেল হাসান আত্মগোপন করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সখিনা বেগমের সঙ্গে সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়ার বাদশা মিঞার তালাক হওয়ার পর আসামি রুবেল হাসানের সঙ্গে সাত-আট বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর রুবেল হাসান সখিনা বেগমের কোনো ভরণপোষণ দিতেন না, খোঁজখবরও রাখতেন না। চার বছর ধরে যোগাযোগ না করায় এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় রুবেল হাসানকে তালাক দিয়ে প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে পুনরায় বিয়ে করেন সখিনা। এতে রুবেল হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে সখিনাকে হত্যার হুমকি দেন।

গত শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে রুবেল হাসান শহরতলির সাবগ্রামে বাড়িতে এসে সখিনা বেগমকে ডাকাডাকি শুরু করেন। সখিনা তার মা আনোয়ারা বেগম এক ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অন্য ঘরে ঘুমিয়েছিলেন ছাব্বির। শয়নকক্ষের দরজা খোলামাত্র রুবেল হাসান তা হাতে থাকা রামদা দিয়ে সখিনাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। সময় মেয়ের চিৎকারে আনোয়ারা ঘুম থেকে উঠে তাকে রক্ষা করতে এলে তাঁকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।

সখিনা আর আনোয়ারার আর্তচিৎকারে ছাব্বির এগিয়ে এলে দা হাতে তাঁকেও ধাওয়া করেন রুবেল। সময় চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। অবস্থা বেগতিক বুঝে রুবেল পালিয়ে যান।

পরে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে সখিনা বেগম এবং শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারা বেগম মারা যান।

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কে এম মঈন উদ্দীন বলেন, মা মেয়ে জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। ওই মামলার একমাত্র আসামি  রুবেল হাসান হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আত্মগোপন করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!