ফেনীর পরশুরামে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বাবা মো. নুর নবীর (৩৫) শরীরে গরম তেলে ঢেলে ঝলসে দেওয়া ও চেতনানাশক ওষুধ সেবনের মামলায় মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় মেয়ের মামাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২ মার্চ) মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহাকে (১৩) গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মামা মো. জাবেদের নির্দেশের কথা স্বীকার করে। দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন পরশুরাম মডেল থানা পুলিশ।
আহত মো. নুর নবী জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে বিছানায় শোয়া থাকা অবস্থায় আমার মুখ ও শরীরে উত্তপ্ত সয়াবিন তেল ছুঁড়ে মারে মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা। এতে আমার মুখসহ শরীরের এক অংশ ঝলসে গেছে।
নুরুন্নবী তার স্ত্রীর মাধ্যমে ৪ জনকে আসামি করে পরশুরাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা, শ্যালক মো. জাবেদ, শ্বশুর মনির আহমদ ও ভাই আবদুর রহমান।
এদিকে মামলার বিবাদী ও মো. নুর নবীর ভাই আবদুর রহমান বলেন, আমি, আমার শ্বশুর মনির আহমদ ও শ্যালক মো. জাবেদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাদেরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। লামিয়া হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে এটি ঘটনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জানা গেছে, লামিয়ার মৃত্যুর ১ বছর পার হলেও তার হত্যার বিচার এখনও হয়নি। এরমধ্যে লামিয়ার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার নিহা তার বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপ করে ঝলসে দিল। দগ্ধ মো. নুরনবী ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মো. নুর নবী বাশপদুয়া গ্রামের মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে। ফাতেমা আক্তার নিহা ও লামিয়া মো. নুর নবীর ১ম স্ত্রীর সন্তান।
পরশুরাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপের মামলায় মেয়ে ও তার মামাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান আছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার কলাবাগানে নিজ বাসায় স্কচটেপ দিয়ে হাত, পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে মো. নুর নবীর মেয়ে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলমেট পরা দুই যুবক। এসময় নুর নবীর অপর মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা পালিয়ে কৌশলে বেঁচে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :