নাটোরের লালপুরে ঈদগাহ মাঠে প্রাচীর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কনক আহম্মেদ (২৩) নামে এক যুবক আহত হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে শরিফুল ইসলাম সোহেল (৪৬) নামে এক বিএনপি নেতার বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রবিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পালিদহা গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় উভয়পক্ষেই লালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পালিদহা ঈদগাহের কমিটি নিয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়নের ৪নং ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সোহেলের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। রবিবার স্থানীয় যুব সম্প্রদায়ের একাংশের বেশ কয়েকজন যুবক সেচ্ছাশ্রম দিয়ে ঈদগাহ মাঠের প্রাচীর সংস্কারের কাজ করছিল। এসময় শরিফুল ইসলাম সোহেলের সমর্থকরা তাদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে কনিক আহম্মেদ নামে একজনকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার জেরে মোজাহার আলীর সমর্থকরা শরিফুল ইসলাম সোহলের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, মারামারির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, ছিলামও না। ইফতার পর হঠাৎ করে মোহাজার মেম্বারের নেতৃত্বে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এবং স্বর্ণালংকার লুটসহ সাড়ে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
ইউপি সদস্য মোজাহার আলী বলেন, ঈদগাহ মাঠে স্থানীয়রা যুবকরা নিজ অর্থয়ানে সেচ্ছায় প্রাচীর সংস্কারের কাজ করছি। এসময় সোহেল কাজে বাঁধা দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে। পরে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলো। পরে শুনেছি সোহেলের বাড়িতে কারা ভাংচুর করেছে নাকি তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি ভাংচুর করেছে তা জানি না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক মুঠোফোনে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, অভিযোগ হয়েছে কিনা এটা বলা যাবে না। এটা গোপনীয় বিষয়। এবিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।