রমজানে গরু, খাসি, মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

রমজানে গরু, খাসি, মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চাঁদপুরে গরু, খাসি, মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যেই অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে বিক্রি করতে দেখাগেছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত শহরের বিপনীবাগ ও নতুন বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে বাজার দর। 

এর আগে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সকলের সম্মতিক্রমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০,খাসির মাংস ১ হাজার১০০ ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালী (কক),২৭০ টাকা ও ডিম প্রতি পিস ৯.৫০ পয়সা নির্ধারণ করা। এদিকে দাম নির্ধারণের ২৪ ঘন্টা পরেও পূর্বের দামে পন্য বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী। 

শহরের বিপনীবাগ বাজারে আনোয়ার হোসেন আনুর গোশতের দোকানে গরুর মাংস ৭০০টাকা বিক্রি হচ্ছে। ওই দোকানের মালিক আনু বলেন, আমরা ৬৮০টাকা বিক্রি করবো। মূল্যতালিকা আজই পরিবর্তন করা হবে। একই দোকানে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১শ’ টাকা। ওই বাজারের দ্বীন ইসলামের ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০টাকা, সোনানী (কক) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে রাসেল খান ব্রয়লার হাউজে। রাসেল খান বলেন, দাম নির্ধাণের পূর্বে মুরগির পরিবেশকদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন ছিলো। প্রশাসন থেকে দাম নির্ধারণ করা হলেও আমরা ওই দামে বিক্রি করতে পারছি না।

একই বাজারে আ. রহমান, তারেক ও নুরু স্টোরে প্রতি কুড়ি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০টাকা। প্রতি কুড়ি ডিম নির্ধারিত মুল্য থেকে ১০ থেকে ২০টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে। শহরের নতুন বাজার নির্ধারিত মূল্যের সাথে বিক্রি মূল্যের উল্টো চিত্র। এই বাজারে পাশাপাশি দুটি ব্রয়লার হাউজ। কালুর ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৯০টাকা, কক প্রতিকেজি ২৬০টাকা। এই দোকানের এক দোকান পরে আল-আমিন ব্রয়লার হাউজ প্রতিকেজি ব্রয়লার ২০০টাকা এবং কক প্রতিকেজি ৩০০টাকা। 

ব্যবসায়ী কালু জানালেন, কেনার উপর নির্ভর করে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশবর্তী ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, আমাদের ক্রয়মূল্য বেশি এজন্য বিক্রিও বেশি। প্রশাসনের কোন নির্দেশনা পাইনি। এই বাজারের গোশতের ব্যবসায়ী সেলিমের দোকানে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০টাকা কেজি। তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের নির্দেশনা পাননি। যদি নির্দেশনা পান তাহলে ওই মূল্যে বিক্রি করবেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত। যেসব বাজারে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করবে, সেখানে আমাদের অভিযান হবে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি ক্রেতাসহ সকলকে সচেতন হবে।

আরবি/এস

Link copied!