মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে ঢাকা সম্মেলনে যোগ দিতে যাতায়াতের জন্য বাস ভাড়া ও কর্মীদের খাবারের টাকা আত্মসাৎতের অনিয়মের অভিযোগের তথ্য জানতে চাইলে দুই সাংবাদিক সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম ও শাহরিয়ার তুহিনকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে, ডাসার উপজেলার জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি কাজী মোর্শেদা কণার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ডাসার থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ডাসার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শাহরিয়ার তুহিন। বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন, ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। এ ঘটনায় মাদারীপুর জেলার পেশাদার সাংবাদিকরা নিন্দা প্রকাশ করেন এবং ওই নাগরিক কমিটির প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
সাংবাদিক শাহারিয়ার তুহিন দৈনিক অধিকার ও দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার ডাসার উপজেলা প্রতিনিধি এবং সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মাদারীপুর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা, দৈনিক দেশের কন্ঠ এবং দ্যা নিউজ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর উপজেলা প্রতিনিধি।
শাহরিয়ার তুহিন জানান, গত শুক্রবার ঢাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিতে ডাসার উপজেলা থেকে নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ বাসযোগে ঢাকায় যায়। সম্মেলেন শেষে যাতায়াত বাবদ একাধিক বাস ভাড়া ও কর্মীদের খাবারের খরচ কেন্দ্রের থেকে গ্রহন করেন কাজী মোর্শেদা কণা একাই আত্মসাৎ করেন এমনকি নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে তিনি পালিয়ে আসেন।
এমন অভিযোগ ডাসার উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের কাছ থেকে তথ্য উপাত্ত পেয়ে আমরা দুই সাংবাদিক বিষয়টি কাজী মোর্শেদা কণার কাছে জানতে চাইলে, তিনি তার রাজনৈতিক প্রভাব পরিচয় ব্যবহার করে দেখে নেওয়ার হুমকি এবং সংবাদ প্রকাশ হলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনার পরে নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক শাহরিয়ার তুহিন, কাজী কণার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন।
এ ঘটনায় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মাদারীপুর জেলা শাখা নিন্দা জানিয়েছে। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার মাদারীপুর শাখার সভাপতি সভাপতি মো. ফায়েজুল কবির বলেন, সাংবাদকর্মী তথ্যের প্রয়োজনে জানার অধিকার আছে । সেজন্য অপরাধ ঢাকতে তাদেরকে হুমকি প্রদান করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
ডাসার উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সোহেল সরদার বলেন, যাতায়াতের জন্য ঢাকায় ৭টি বাস গেলেও তিনি ১১ টি বাসের টাকা কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসেন। তিনি চারটি বাসের হিসেব দিতে পারেননি।তার ব্যাপারে কেন্দ্রে জানানো হয়েছে।তার কর্মকান্ডে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে কাজী মোর্শেদা কণার নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ডাসার থানার এস আই আবুল কালাম আজাদ বলেন, শাহরিয়ার তুহিন ডাসার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ ডায়রির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :