ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ মার্চ, ২০২৫

কক্সবাজার শহরে বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসক

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন,  কক্সবাজার
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও বাজার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু রাখতে পর্যটন শহর কক্সবাজারের বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় কক্সবাজার  জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন  বলেন, রমজানে কক্সবাজারে সয়াবিন তেলের বাজারে কোনো ঘাটতি থাকবে না আর সে লক্ষে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং পরিচালনা করবে জেলা প্রশাসন।

সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত  কক্সবাজার শহরের বড় বাজার, বাজারঘাটাসহ এলাকায় বিভিন্ন আড়তের পাইকারি ও খুচরা বিভিন্ন দোকানে মনিটরিং শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন ।

সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও বাজার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু রাখতে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে বিভিন্ন আড়তের পাইকারি ও খুচরা বিভিন্ন দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তালিকা, ক্রয়-বিক্রয় রশিদ পর্যবেক্ষণ ও বাজার মনিটরিং করা হয়।

পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযানে অংশ নেয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের সরবরাহ সঠিকভাবে চালু রাখতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট করে কেউ সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিতে না পারে, কেউ যাতে অবৈধভাবে খাদ্যসামগ্রী মজুত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকবে জেলা প্রশাসন।

যেসব ব্যবসায়ী শর্তসাপেক্ষে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন তাদের সতর্ক করে এই মনিটরিং টিম এবং সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা করার কথাও জানান জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন মনিটরিং টিম।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেন সজিব, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর রোজার দিনে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বাড়তি দামের সেই চিরচেনা রূপ পাল্টাবে প্রত্যাশা করলেও বরাবরই রয়েছে আগের চিত্র। তবে ঢালাওভাবে সব পণ্যের দাম না বাড়লেও সবজিতে বেড়েছে লেবু, শসা, বেগুন, ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ। চাহিদা বাড়তি থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ-মাংস-মুরগি। তবে স্থিতিশীল রয়েছে টমেটোসহ অন্যান্য সবজি ও ছোলা-মুড়ি-খেজুরের দাম।

অপরদিকে, রান্নায় নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলে অস্থির রয়েছে বাজার। একে তো খুচরা মার্কেটে তেল সংকট তার মধ্যে ডিলার সিন্ডিকেট শুরু করেছে তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য বিক্রির কৌশল। তারা ভোজ্যতেলের পাশাপাশি ওই কোম্পানির আটা, ময়দা, চাল, সুজিসহ অন্যন্য পণ্য না কিনতে বাধ্য করছে খুচরা বিক্রেতাদের।

অনেক খুচরা বিক্রেতা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তেলের সঙ্গে সেসব পণ্য নিলেও বেশিরভাগই তেল না কিনে ফিরে আসছেন। আবার অনেকে বাড়তি দামে তেল কিনছেন এবং গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছেন বাড়তি দাম বাড়িয়ে। এ নিয়ে ক্রেতারাও পড়ছেন ভোগান্তিতে। এই অব্যবস্থাপনার জন্য তারা দায়ী করছেন ডিলার সিন্ডিকেটকে।

কক্সবাজার শহরের বড়বাজার, বাহারছড়া ও কালোর দোকান বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগে যে শসা কেজিতে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছেল তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। ২০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ৩০ টাকার কাঁচামরিচ ৬০ টাকা। ৩০ টাকার ধনে পাতা ৭০-৮০ টাকা। লেবু বিক্রি হচ্ছে জোড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। একইভাবে বাড়তি চাহিদা থাকায় কেজিতে ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে মাছ-মুরগি-মাংসে।