হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় নিলামের দরপত্র দাখিলের আগেই স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে গাছ কেটে নিলেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী তুষার। উপজেলার খাগাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা ও সমালোচনা।
জানা যায়, বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের খাগাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্নানঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এ কারণে বিদ্যালয় দুটির আঙ্গিনায় থাকা যথাক্রমে ৮টি ও ১৫টি গাছ নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়।
এ লক্ষ্যে ওই কার্যালয়ের নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় দৈনিক খোয়াই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। দরপত্রের সূচি অনুযায়ী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দরপত্র বিক্রি হয়। তবে গত ২ মার্চ সকাল ৯টা দুপুর ১টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য এদিন বেলা ২টায় দরপত্র বাক্স খোলার সময় নির্ধারণ ছিল। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থাই ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি গাছ কাটা শ্রমিক দিয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী তুষার অবৈধভাবে গাছগুলো কেটে নেন। তার গাছ কাটার কথা স্বীকার করেন বিএনপির এ নেতার কর্মচারী শ্রমিকদের তদারকির দায়িত্বে থাকা আল-আমিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, দল ক্ষমতায় নেই তারপরও বিএনপির সভাপতি সরকারি স্কুলের গাছগুলো কেটে নিয়েছে। দল ক্ষমতায় এলে তারা কী করবে এ ঘটনা থেকেই বুঝা যায়। আওয়ামী লীগ যা করেছে, তারাও তাই শুরু করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান জানান, গাছ কাটার কোনো অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। কেউ কেটে থাকলে তা অবৈধ। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী তুষারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, গাছগুলো নিলামে বিক্রির উদ্দেশ্যে দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে। যার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এ অবস্থায় কেউ গাছ কেটে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :