ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫

বালু-মাটি বিক্রি: মূলহোতাদের ধরতে ফের অভিযানে ইউএনও

হবিগঞ্জ (নবীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর চর কেটে অবৈধভাবে মাটি ও বালু বিক্রির ঘটনা ট্রাক আটক করে জরিমানা করার পর এবার মাটি এবং বালু বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত মূলহোতাদের ধরতে ফের অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।

বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর চর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা যায়-দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর চর কেটে অবৈধভাবে বালু ও মাটি বিক্রি করে আসছে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাতের আধাঁরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল আনসার সদস্য উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা এলাকায় কুশিয়ারা নদীর চর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে অবৈধ বালু ও মাটি বোঝাই ৩টি ট্রাক আটক করা হয়। পরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বালু মহাল এবং মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী কুশিয়ারা নদীর চর কেটে অবৈধভাবে বালু বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার দায়ে ট্রাক চালক মতিউর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা ও অবৈধভাবে মাটি বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার দায়ে ট্রাক চালক হীরা সরকারকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

এদিকে বুধবার দুপুরে মাটি ও বালু বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত মূলহোতাদের ধরতে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর চর এলাকায় পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে আগে ভাগেই সটকে পড়েন মূলহোতারা। 

সূত্র বলছে-দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে তথ্য আদান প্রদানের জন্য একাধিক নিজস্ব (সোর্স) লোক বসিয়ে রাখে অবৈধ মাটি এবং বালু বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত চক্রটি। এজন্য সোর্সদের পারিশ্রমিকও দেয়া হয়। আশপাশ এলাকায় প্রশাসনের গাড়ি দেখামাত্র বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা সোর্সরা ঘটনাস্থলে ফোন দিয়ে প্রশাসন আসার খবর জানিয়ে দেয়। ফলে দ্রুত তারা সটকে পড়ে।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, কসবা গ্রামে কুশিয়ারা নদীর চর কেটে অবৈধ বালু ও মাটি বিক্রির ঘটনায় সম্পৃক্ত মূল অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। নদীর চর কেটে অবৈধ বালু ও মাটি বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।