টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দেবরের দায়ের কোপে ভাবির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মা-বাবা ও চাচাসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের ভাদিলাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে চারজনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার ইচাইল গ্রামের ভাদিলাপাড়ার নিমাই সরকারের ছেলে মোটরসাইকেল মেকানিক আনন্দ সরকার দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই ব্যক্তি তাকে বিদেশ পাঠাতে পারেননি। টাকা ফেরত চেয়েও পাননি তিনি। ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত আনন্দ এসব নিয়ে হতাশাগ্রস্ত থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কুপিয়েছে।
বিকেলে বাড়ি গিয়ে চাচাতো ভাই রঞ্জিত সরকারের স্ত্রী রাজেশ্বরী সরকারের কাছে দা চান। দা পাওয়ার পর হঠাৎ আনন্দ সরকার বৌদি রাজেশ্বরীকে মাথায় কোপাতে থাকেন। এক পর্যায়ে বাবা নিমাই সরকার, মা মিষ্টি সরকার, চাচা দুলাল সরকার, আরেক বৌদি দিপা সরকার, সুমা সরকার এবং প্রতিবেশী দিগেন সরকারকে কুপিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে নিমাই সরকার ও সুমা সরকার বাদে চারজনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আনন্দ সরকারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। রাজেশ্বরী সরকারের ১৭ বছরের একটি কন্যা ও ৭ মাসের একটি ছেলে রয়েছে।
মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন জানান, ঘটনার পর আনন্দ সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।