ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫

ধুনটে টিসিবি চক্করে গ্রাহক ভোগান্তি

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

দেশব্যাপী স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধার লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সুলভ মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। নকল কার্ডে পণ্য বিতরণ রোধে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুযায়ী তথ্য যাচাই করে উপকারভোগীদের জন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড প্রস্তুত কাজ চলমান। ফলে সম্প্রতি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের অনলাইন সিস্টেমে বেড়েছে গ্রাহক ভোগান্তি। যা সবার জন্য সহজতর হয়ে ওঠেনি।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি, মথুরাপুর, গোপালনগরসহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে (টিসিবি‍‍র) আওতায় বেশ কয়েক হাজার উপকারভোগী রয়েছেন।

উপকারভোগীদের অভিযোগ, পূর্বে তারা হাতে লেখা ম্যানুয়ালি কার্ডের মাধ্যমে ডিলারদের নিকট থেকে খুব সহজে পণ্য ক্রয় করতে পারতেন ৷ কিন্তু টিসিবি কার্ডের আপডেট সিস্টেম অনলাইন ভেরিফাই চালু হওয়ায় ফ্যামিলি কার্ড থেকে বাদ পড়েছেন অনেকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কিছু কার্ড মৃত্যুজনিত কারণে বাদ পড়েছে। কিছু জনপ্রতিনিধিদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। কিছু কার্ড সার্ভার জটিলতায় আটকে আছে। আর এই আপডেট প্রক্রিয়ায় গ্রামের সহজ সরল মানুষেরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। কারো মোবাইল নাম্বার ভুল, কারো জাতীয় পরিচয়পত্র ভিন্ন অঞ্চল ও জেলা থেকে নিবন্ধিত। কারো কার্ড টিসিবি সার্ভার কর্তৃক ঝুলন্ত।

এ ছাড়া কম্পিউটার অপারেটরের ত্রুটি-বিচ্যুতির পাশাপাশি গ্রাহকের তথ্য প্রদানে অস্বচ্ছতাজনিত কারণে ফ্যামিলি কার্ডকে করে তুলেছে জটিল।

চৌকিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল করিম পুটু জানান, অনলাইন সিস্টেমে একই পরিবারের ফ্যামিলি কার্ড সুবিধাভোগীদের নকল ঠেকাতে হালনাগাদ তথ্য প্রয়োজন। অনলাইন সিস্টেমে একটু সমস্যা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।

মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী সঞ্চয় কুমার জানান, কিছু ফ্যামিলি কার্ডে মোবাইল নাম্বার সংশোধন করা হচ্ছে। অতিরিক্ত সমস্যা ও জটিল কার্ডগুলো সংশোধনের জন্য উপজেলা প্রশাসন বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ধীরে ধীরে সবই সংশোধন হবে।

উপজেলার বিভিন্ন বিক্রয় পয়েন্ট এবং ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে তারা সঠিক ফ্যামিলি কার্ডধারীদের সুনির্দিষ্ট পণ্যগুলোই বিক্রি করতে পারছেন, যার পরিমাণ খুবই স্বল্প। সবার ফ্যামিলি কার্ডগুলো হলে বাড়বে তাদের বিক্রি। দ্রুত এই জটিলতা কাটিয়ে তোলার জন্য বারবার ডিলারগণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানা যায়।