চট্টগ্রামের রাউজানে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি দেশীয় এলজি এবং কয়েক রাউন্ড গুলি, কার্তুজসহ এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) ভোর রাতে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীবুল্লা পাড়ার একটি বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়্যা।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার দু’জন রাউজানে প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলি করে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামি। গ্রেপ্তাররা হলেন- রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড গরীবুল্লাহ পাড়ার আবু আহমেদের ছেলে আরফাত মামুন (৪৯) ও উপজেলার পূর্বগুজরা ইউনিয়নের হোয়ারাপাড়া গ্রামের তেজন্দ্র লাল বড়ুয়ার ছেলে বিপ্লব বড়ুয়া।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তাদের কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় এলজি ও ৭ রাউন্ড গুলি এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আসাদ আলী মাতব্বর পাড়ায় জুমার নামাজ আদায় করে বাবা-মায়ের করব জিয়ারত করতে আসার পথে চাকতাইয়ের শুটকি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়।

এ ঘটনার ১০ দিন পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে মো. মাকসুদ আলম বাদী হয়ে ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে এই মামলায় রমজান আলী ও গিয়াস উদ্দিন নামের দুই জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। যদিও এখনও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো রহস্য উদঘাটন হয়নি।
রাউজানের ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়্যা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। আজ আরও নতুন মামলা দায়ের হচ্ছে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য কি না জানিনা। আমাদের কাছে তাদের পরিচয় হচ্ছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।
চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) রাসেল বলেন, দুইজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।