মায়ের সঙ্গে দেখা হলো না শিশু ইয়াসিনের

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০২:১৯ পিএম

মায়ের সঙ্গে দেখা হলো না শিশু ইয়াসিনের

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

গত তিন দিন আগে অন্যত্র বিয়ে হয় পিতৃহারা শিশু ইয়াসিন শিকদারের (১০) মায়ের। তার মায়ের সাথে দেখা করার আগেই মাহেন্দ্রা থেকে নেমে নানার হাত ধরে রাস্তা পারাপারের সময় যাত্রীবাহী বাসের চাপে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় নিহত ইয়াসিন শিকদারের (১০) নানা আব্দুল মজিদ শিকদার গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ইয়াসিন পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের মিশ্রিপাড়া গ্রামের মৃত মো. সুমন শিকদারের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, গত তিন দিন আগে গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পিতৃহারা শিশু ইয়াসিনের মায়ের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার রাতে নানা আ. মজিদ শিকদার নাতি ইয়াসিনকে (১০) তার মায়ের সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাহেন্দ্র থেকে নেমে নানার হাত ধরে রাস্তা পারাপারের সময় বরিশালগামী হাওলাদার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাসের চাপে ইয়াসিন ঘটনাস্থলেই নিহত ও তার নানা আ. মজিদ গুরুতর আহত হন। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক বাসটি আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে বাসে আগুন দেওয়ার আগেই চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে এবং বাসের যাত্রীরা নিরাপদে নেমে যায়।

গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পাশাপাশি বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বৃদ্ধ মজিদ শিকদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি মো. আমিনুর রহমান জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই চালক-হেলপার পালিয়ে গেছে। হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতক বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে। ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশু ইয়াসিনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!