আবরার ফাহাদ আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের জার্নি: আসিফ মাহমুদ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম

আবরার ফাহাদ আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের জার্নি: আসিফ মাহমুদ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য দেশের তরুণরা ঝাপিয়ে পড়ে রাজপথে, অবশেষে আমরা আগ্রাসী পরাশক্তির সবচেয়ে বড় খুঁটি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছি বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শহিদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেছেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, আগ্রাসনবিরোধী দীর্ঘ লড়াইয়ে আবরার ফাহাদ একটি নতুন ধাপ সংযোজন করে দিয়ে গেছেন। আমরা সেই লড়াইয়ে তাকে সামনে রেখে চালু রাখতে চেয়েছি। আবরার ফাহাদ শুধু একটা নাম না। আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের একটি জার্নি। সেই জার্নির একটা অন্যতম অর্জন হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। অভ্যুত্থানে এদেশের তরুণরা জীবন দেওয়ার প্রেরণা পেয়েছে আবরার ফাহাদের থেকে। আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য তরুণরা ঝাপিয়ে পড়ে রাজপথে। অবশেষে আমরা আগ্রাসী পরাশক্তির বাংলাদেশীয় সবচেয়ে বড় খুঁটি শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে পালাতে বাধ্য করেছি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার আবরার ফাহাদের স্মৃতি মুছে দিতে চেয়েছিল। তারা কোন সংবাদ করতে দিত না, কর্মসূচি পালন করতে দিতো না। কর্মসূচি পালন করতে গেলে সেখানে হামলা হতো। জেল, জুলুমের শিকার হতে হতো। যারা আত্মত্যাগ করে তাদের নাম মুছে ফেলা যায় না। এটি আবারও প্রমাণিত হলো। ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের পর এখন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে। আগ্রাসন বিরোধী প্রতিটি লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকেন শহি আবরার ফাহাদ।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। নানা ছোটখাটো ইস্যুতে জনগণকে বিভক্ত করার, একে অপরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে পরাজিত শক্তি। নানা ধরনের উগ্রবাদীদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি বিনষ্ট করার জন্য। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এ ধরনের যেকোন প্রচেষ্টাকে অন্তবর্তী সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।

স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন আবরার ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এনডিসি (যুগ্ম সচিব) আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

জানা গেছে, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া স্টেডিয়াম। ২০২০ সালে নাম পরিবর্তন করে করা হয় শেখ কামাল স্টেডিয়াম। এরপর পুরনো স্টেডিয়াম ভেঙে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার পর স্টেডিয়ামটি তার নামে নামকরণের দাবি ওঠে। পরবর্তী সময়ে স্টেডিয়ামকে নতুন নামে নামকরণ করে আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম করে সরকার। ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত খুলনা বিভাগের মধ্যে এক মাঠে দুই খেলার এটিই প্রথম স্টেডিয়াম।

এর আগে বেলা ১১টায় কুমারখালির কয়ায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া শহিদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত ও আবরার ফাহাদ জামে মসজিদ সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে বিকেলে তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুধীজন, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আরবি/এসআর

Link copied!