সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রতিবাদে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে মিছিলটি বিজ্ঞান কলেজের রাস্তা হয়ে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে যায়। এ সময় তারা থানার মোড় অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী রুবাইয়া খাতুন, আর এস ডিগ্রি কলেজের অন্তর সরকার ও সিফাত হোসেন, উল্লাপাড়া হামিদা পাইলট গার্লস স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ফারজাহান ও সুমাইয়া অভিযোগ করেন, জুন মাস পর্যন্ত তাদের সেশন শেষ। তারপরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বেতন নিচ্ছে। তারা এই বেতন দিতে নারাজ। এ ছাড়াও পানি বিল ও বিদ্যুৎ বিল হিসেবেও টাকা নিচ্ছে।
অবরোধ চলাকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক, উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুম আনাম, ইয়াসিন তালুকদার রোহিত উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পরে উল্লাপাড়ার বিএনপির সাবেক এমপি এম আকবর আলীও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামছুল হক জানান, এ বছর শিক্ষা বোর্ড এইচএসসির ফরম পূরণের সময় জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর-২০২৫ মাসের বেতন নেওয়ার ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছে। ফলে কলেজগুলো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ওই ৩ মাসের অতিরিক্ত বেতন দিতে রাজি হচ্ছে না।
উপজেলার আর এস ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ আবু জাফর জানান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চিঠির আলোকে তারা পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের টাকা নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত টাকা দিতে নারাজ। সমস্যাটা এখানেই সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি তার গভর্নিং বডির সভাপতি ও তার কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে মোট টাকার ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, ‘কলেজগুলোর কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারিবিধির বাইরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যাতে অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় না করা হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’