সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ইউনিভার্সাল নামে একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। বিএনপির নাম ব্যবহার করে রুহুল-মনির গ্রুপের সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে আদমজী ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোহনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত দশজন আহত হয়েছেন।
পরে আদমজী কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদের সামনে আদমজী-চাষাড়া-শিমরাইল সড়কে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় মোহন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সভাপতি আরিফ সহ মাহবুব, সবুজ ও শহিদের উপর অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের লোকজন গিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।
এসময় তারা গুলি বর্ষণ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, সড়কে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল সহ ৯টি মোটসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা দেশিয় ধারালো অস্ত্র হাতে পাশের ভুইয়া মার্কেটে ঢুকে দোকান-পাট ও আরো ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। প্রায় একঘন্টা চলাকালীন সংঘর্ষের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গেলে স্থানীয় ফটো সাংবাদিক মো. তোফাজ্জল হোসেনেকে হামলাকারী পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে সেনাবাহিনী পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসী মতি ও পানি আক্তারের কেডার বাহিনী নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে আমাদের দলের কিছু নামধারী নেতা-কর্মীদের সাথে হাত মিলিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে হাসপালাতে চিকিৎসাধীন আছে। আমি এসব হাইব্রিডদের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে রুহুল আমিন বলেন, ইপিজেডের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নিতে সাগরের লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলম জানান, আদমজী ইপিজেডের ব্যাবসা নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহীনি গিয়েছিলো। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। উভয় পক্ষের কেউই এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :