বগুড়ায় চিরকুট লিখে নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থী নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার রাতে শহরের জহুরুল নগর এলাকায় তাদের বাড়ি থেকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়৷ পরে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম অপর্না। সে জহুরুল নগর হাফিজার মোড় এস ইউ ঠাকুরবাড়ি এলাকার হিমাংশু চক্রবর্তীর মেয়ে ও নার্সিং কলেজ বগুড়া নামে বেসরকারি কলেজের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া উপশহর ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জালাল উদ্দিন।
অপর্না তার চিরকুটে লেখে ‘মা ক্ষমা করো’ এই পৃথীবী থেকে আমি চলে যাচ্ছি, পরপারে তোমার সাথে দেখা হবে। ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ভাইকে বলো, চার বছর ধরে আমি পড়াশোনার চেষ্টা করেছি।’
পুলিশ কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অর্পিতা তাদের নিজের পাঁচতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই বাড়ির ৫ তলা বাড়ির ছাদটি রেলিং দিয়ে ঘেরা। তিনি একটি প্লাস্টিকের টুলের ওপর উঠে নিচে ঝাঁপ দেন বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১২ টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, ময়না তদন্ত শেষে অপর্নার) মরদেহ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানান, মেয়েটির এক পায়ে সমস্যা ছিল। হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি বাসায় একটি চিরকুট লিখে যান। এতে লেখা আছে ‘মা ক্ষমা করো’ এই পৃথীবী থেকে আমি চলে যাচ্ছি, পরপারে তোমার সাথে দেখা হবে। ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, ভাইকে বলো, চার বছর ধরে আমি পড়াশোনার চেষ্টা করেছি’। এ চিরকুট পাওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।