দুই ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বোনের জানাজায় অংশ নিয়েছেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১০ আগস্ট তার নেতৃত্বে বরগুনায় একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ এবং ১২ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে বরগুনা থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রুজু করলে সেই মামলায় তিনি কারাবন্দী রয়েছেন।
শুক্রবার (৭ মার্চ) স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তি দেন বরগুনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম। এর আগে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার সময় বার্ধক্যজনিত কারণে জাহাঙ্গীর কবিরের বড় বোন আনোয়ারা বেগম (৮৪) মৃত্যুবরণ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বোনের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে স্বজনরা একটি লিখিত আবেদন জানান। পরে জানাজায় অংশ নিতে জাহাঙ্গীর কবিরকে দুই ঘন্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি অনুমতি দেয়া হয়। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশি নিরাপত্তায় বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে বরগুনার সার্কিট হাউজ মাঠে জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন। পরে দুপুর পৌনে ২টার দিকে পুনরায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা জেল সুপার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জাহাঙ্গীর কবিরকে কারাবিধি অনুযায়ী দুপুর ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত প্যরোলে মুক্তি দেয়া হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে জাহাঙ্গীর কবির কারাগার থেকে বের হয়ে পৌনে দুইটার দিকে কারাগারে ফিরে আসেন। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।