আওয়ামী লীগ নেতার ফেসবুক প্রোফাইল এবং কভার ফটোতে খালেদা জিয়ার ছবি। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।
আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম মাজহারুল ইসলাম পিন্টু। তিনি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, মাজহারুল ইসলাম পিন্টু বানাইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আত্মীয়তার সুত্র ধরে ২০০৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর পক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করেন এবং আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
তারপর বানইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে তিনি ওই পদেই আছেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট পিন্টুর ফেসবুক প্রোফাইল এবং কভার ফটোতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি আপলোড করা হয়।
এরপর ২১ আগস্ট স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং অন্যান্য বিএনপি নেতাদের ছবি তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করা হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা পিন্টুর ফেসবুক আইডিতে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির নেতাদের ছবি পোস্ট হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থদের মধ্যে বিরূপ প্রতিত্রিয়া দেখা দেয়। এ নিয়ে তাকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বানাইল ইউনিযন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকট আনিসুর রহমান হুমায়ুন বলেন, প্রথমে তিনিও ওইসব পোস্টে বিভ্রান্ত হয়েছেন।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় পিন্টুর আইডি হ্যাক হয়েছে। তিনি এখনও আওয়ামী লীগেই আছেন, বিএনপিতে যোগ দেননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জহিরুল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আমরাও অবাক হয়েছি। পরে পিন্টুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার আইডি হ্যাক হয়েছে।
মির্জাপুর পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের পদধারী কোনো নেতা বিএনপিতে যোগদানের কোনো সুযোগ নেই। পিন্টুর বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে তার জানা নেই বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে বানাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম পিন্টু বলেন, ‘আমার আইডি হ্যাক হয়েছে। অনেকদিন ধরে আমার আইডি থেকে এসব পোষ্ট দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে থানায় জিডি করা আছে। আমি এখনও আওয়ামী লীগেই আছি। ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন করে আমি মামলার আসামি হয়েছি।’