দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে উঠেছে মৌসুমি সুস্বাদু ও রসালো ফল তরমুজ। ফল ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আকষ্ট করতে তরমুজের পসরা সাজিয়ে রাখছেন দোকানের সামনে। তবে ব্যবসায়ীরা পিস দরে কিনে আনলেও বিক্রি করছেন চড়া দামে কেজি দরে।
রমজানের ইফতারে অন্যান্য ফলের সাথে সকলের কাছে মরমুজ একটি প্রিয় ফল। রমজান শুরুর পর থেকেই হাটবাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ উঠলেও দাম নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর নাগালের বাইরে থেকে গেছে। তবুও বেচাকেনা চলছে পুরোদমে।
সরেজমিনে উপজেলার হাটবাজারসহ পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহরের নিমতলা মোড়, বাসষ্ট্যান্ড, টিটিই মোড়, ঢাকা মোড়, রেল ঘুমটি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা মৌসুমী ফল তরমুজের পসরা সাজিয়ে রাখছেন দোকানের সামনে। দোকানে দোকানে ক্রেতাদের আনা গোনা দেখা গেলেও বেচাবিক্রি কম হচ্ছে বলে জানান ফল ব্যবসায়ীরা।
নিমতলা মোড় এলাকার তরমুজ ফল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে উঠেছে মৌসুমী ফল তরমুজ। তবে এপ্রিল ও মে মাস হচ্ছে তরমুজের ভরা মৌসুম। আগাম জাতের কিছু তরমুজ উঠার জন্যই এ সময় বাজারে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। আকার ভেদে প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। তবে এ মুহুর্তে এক-একটি তরমুজ আকার ভেদে ৩ থেকে ৪ কেজি হয়ে থাকছে।
অপর ফল ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন ও ফুলবাড়ী বাজার এলাকার ফল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান ও মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, বরিশাল, পটুয়াখালী থেকে জয়পুরহাট ও বগুড়ার ফল আড়ৎদাররা পাইকারি দরে কিনে আনেন এই তরমজু। সেখান থেকে এনে স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করছেন তারা। সব খরচ বাদ দিয়ে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা লাভ হয়। আবার পচে গেলে পুরোটাই লোকসান। তবে মৌসুমী ফল প্রথম প্রথম দাম একটু বেশি থাকে, পড়ে কমে আসে।
তরমুজ ক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, বিক্রেতারা আগাম জাতের পরিপক্ক বলে যে তরমুজ বিক্রি করছেন সেগুলোর বেশির ভাগই অপরিপক্ক। এগুলো খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্য সম্মত তাও বলা মুশকিল। বেশি দামে হলেও পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য এই অপরিপক্ক তরমুজই কিনতে হচ্ছে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তরমুজগুলো আকার ভেদে পিস হিসেবে কিনে আনলেও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছে কেজি দরে।
অপর ক্রেতা সেলিনা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েদের আবদারের জন্য তরমুজ কিনতে আসা। এর আগে নিয়ে গেছেন, সেটার স্বাদ কিংবা মিষ্টি কোনটিও ছিল না। কেমন যে ফেকাসে ফেকাসে লেগেছে। আর ভেতরের লাল না হয়ে ফেকাসে সাদা ভাব ছিল। এরপরও বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে ছেলেমেয়েদের জন্য।
দিনাজপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন জানান, তরমুজ বিক্রিতে কোনো ধরাবাধা নিয়মনীতি নেই। এ কারণে বিক্রেতারা পিস হিসেবেও বিক্রি করতে পারেন আবার কেজি দরেও বিক্রি করতে পারেন। তবে ক্রেতাদের তরমুজ কেনার আগে সেটি পরিপক্ক কি না সেটি দেখে নিতে হবে।