ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

আন্তর্জাতিক নারী দিবস

স্বামীর অনুপ্রেরণাতেই সফল উদ্যোক্তা মারিয়া নুর

সাইদুল ইসলাম, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
নিজের তৈরী কেক হাতে নারী উদ্যোক্তা মারিয়া নুর। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বর্তমানে ঘরের কাজের বাহিরেও নারীদের নানান কাজ শিখে উদ্যোক্তা হতে দেখা যায়। বিশেষ করে আধুনিকতার যুগে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছোঁয়াতে বদলে যেতে শুরু করেছে প্রান্তিক পর্যায়ের নারীদের জীবন-জীবিকা।

তার মধ্য ঘরে তৈরি কেক (হোমমেইড কেক) বানিয়ে সফলতার গল্পটাও একই সুতোয় গাঁথা। খুব বেশিদিন হয়নি যে, নারীরা ঘরে কেক বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্রি শুরু করেছে।

এরমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের তৈরি কেক বিক্রি করে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপর বিক্রি করে সফল হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটির মেয়ে মারিয়া নুর। শুরুটা ২০১৯ সালে কুমিল্লার একটি প্লাটফর্ম থেকে শিখে। এরপর নিজ এলাকায় এসে কেক বিক্রির পাশাপাশি প্রায় ৭০ জন তরুণীকেও শিখিয়েছেন কেক তৈরি। বানিয়েছেন উদ্যোক্তা। স্বপ্ন দেখিয়েছেন স্বাবলম্বী হওয়ার৷ মারিয়ার শুরুটা তেমন সুখের ছিলনা।

সবাই ভাবত তার পরিবারের অসচ্ছলতার জন্যই সে কেকে বিক্রি করে। তবে তার স্বামী একজন লন্ডন প্রবাসী এটা শোনার পর মোটামুটি সবাই তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দিত যে, স্বামীর সাথে কি সমস্যা চলে?। তবুও সে সকল কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণে বিভোর ছিলেন মারিয়া ৷

বর্তমানে মারিয়া দৈনিক ১০-১২টি কাস্টমাইজ কেকের ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে মারিয়া বিক্রি করেছেন প্রায় লক্ষাধিক টাকার কেক। তার এই সফলতা দেখে কেক বানানো শিখতে আসছেন অসংখ্য তরুণী। যাদের শুধুমাত্র দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে কেক তৈরির সকল পদ্ধতি ও কলাকৌশল শিখাচ্ছে মারিয়া। পরবর্তীতে বাকিরাও নিজেদের পেইজ খুলে পৃথকভাবে করছেন ব্যাবসা, হয়ে উঠছেন তরুণ উদ্যোক্তা।

সফলতার বিষয়ে জানতে চাইলে মারিয়া নুর বলেন, আমি যখন হোমমেইড কেক বানাই তখন মানুষ সচরাচর বেকারি থেকেই সস্তায় কেক খেয়ে অভ্যস্ত ছিল। তবে এখন সময় বদলেছে নিজেই তৈরি করেছি আরো ৭০ জন উদ্যোক্তা। যারা ছড়িয়ে গিয়েছে সমগ্র কসবায়। আমার একটায় ইচ্ছে ছিল যে, মানুষকে স্বাস্থ্যকর কেক বানিয়ে খাওয়ানো।

বর্তমানে আমি কাস্টমাইজ কেক তৈরির পাশাপাশি একজন সফল গৃহিণী ও সফল উদ্যোক্তা। আমি আমার স্বামীর অনুপ্রেরণাতেই এতদূর আসতে পেরেছি। তারই সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাবা-মাকে। নারীরা যদি পরিবারের একটু সাপোর্ট পায় তাহলে অবশ্যই তারা এগিয়ে যাবে। তাদের বেঁধে রাখা যাবেনা।