শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ ও ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে নূরুল আমিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ওই নারী আশুলিয়া থানায় এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া থানার এসআই ওমর ফারুক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগী নারীর গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে এবং অভিযুক্ত নুরুল আমিন আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের আমতলা এলাকার মো. ইয়ার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে নুরুল আমিনের সঙ্গে রং নাম্বারের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে নুরুল তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাগেরহাট থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে এবং আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকে। তারা বিগত তিন বছর এক সঙ্গে বসবাস করে এরই মধ্যে গাড়ির ব্যবসা করার কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে নূরুল আমিন ৫ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন। টাকা নেওয়ার পরেই হঠাৎ আত্মগোপনে চলে যান নূরুল। এরপর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, গত ৫ মার্চ তিনি (নারী) জানতে পারেন নুরুল আমিন আশুলিয়ার গোহাইল বাড়ি বাজারে ব্যবসা করছেন এবং সেখানেই বসবাস করছেন। পরে ওই নারী নুরুলের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার পাওনা টাকা চান। তবে নুরুল আমিন তাকে টাকা দেবেন না বলে জানায়। সেই সঙ্গে তাকে খুন করার হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি সহ বিভিন্ন হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বিভিন্ন মাধ্যমে সাহায্য চাইলেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় ৭ মার্চ রাতে তিনি আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরুল আমিন গোহাইলবাড়ি এলাকায় তার বাবার রেখে যাওয়া ধানের মিল, ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশার চার্জের ব্যবসা করেন। সে বেশিরভাগ সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকে। বেশ কিছুদিন আগে গোহাইল বাড়ি বাজারের সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ আবুল হোসেনকে মারধর করেন। এ ছাড়া নারী নিয়ে নৌকায় অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগেও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল আমিনের সাথে ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে গোহাইল বাড়ি বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওমর ফারুক বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগটি ভুলে আমার নামে ইন্ডোস করা হয়েছে। এটা সংশ্লিষ্ট এলাকার বিট অফিসার তদন্ত করবেন। তিনিই তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :