ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

ববি শিক্ষার্থীদের ওপর শ্রমিকদের হামলা, অবরোধ

বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রূপাতলী থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা) শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থী। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মেট্রোপলিটন বন্দর থানাধীন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা) এবং বাস শ্রমিকদের মধ্যেকার মারামারি থামাতে গেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে মাহিন্দ্রা শ্রমিকেরা। এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের ছাত্র তানজিল আজাদ, তরিকুল ইসলাম আজমাইন এবং রবিউল ইসলাম আহত হলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

পাশাপাশি হামলাকারী শ্রমিকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কে সকল ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রিজের উভয়প্রান্তে কয়েশ যানবাহন আটকা পড়ে। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে পরিবেশ-পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ-প্রশাসনের আশ্বাসে দুই ঘণ্টা পরে অর্থাৎ দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। 

পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, থ্রি-হুইলারে যেন যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে চেকপোস্ট বসায় রূপাতলী বাসমালিক সমিতির লোকজন। এনিয়ে থ্রি-হুইলার চালকদের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গন্ডগোল হয়। এর ঘণ্টাখানেকের মাথায় বেলা ১১টার দিকে বাস এবং থ্রি-হুইলার চালকদের মধ্যে মারামারির খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় থ্রি-হুইলার চালকদের হামলায় লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল আজাদ, তরিকুল ইসলাম আজমাইন এবং রবিউল ইসলাম আহত হন।

শিক্ষার্থী তানজিল আজাদ বলেন, সংঘাতের খবর পেয়ে আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি ৬০ বছর বয়সি এক যাত্রীকে থ্রি-হুইলার চালকরা মারধর করছেন। তখন আমি তাকে ছাড়িয়ে দিই। এতে চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করে।

অনুরুপ তথ্য দিয়েছেন শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম আজমাইন। তিনি অভিযোগ করেন, সিএনজি চালকরা বাসে উঠে সাধারণ যাত্রীদের আঘাত করছিলেন। তখন তাদের মারামারি না করতে বলায় সিএনজি চালক ও স্থানীয় সাত-আটজন মিলে আমাদের মারধর করে। এই মারধরের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলতে থাকায় কুয়াকাটা-বরিশাল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষ। পরবর্তীতে বাস মালিক সমিতি, সেনাবাহিনী ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সমঝোতার আশ্বাসে বেলা ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। 

ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, জনভোগান্তি রোধে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন। বর্তমানে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার সমাধানে বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে, আশা করছি সুষ্ঠু সমাধান হবে, মন্তব্য করেন ওসি।’