ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

ভালুকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ : কৃষকদের মাথায় হাত

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

উপজেলার ধামশুর গ্রাম দিয়ে উজানের ৫ গ্রামের পানি নিষ্কাশনের  সিংড়া বিলের শতবর্ষী খালটি মাটি ফেলে ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে সানি ফ্যাক্টরীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় কৃষকরা জানান প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় ওই বিলের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত সিংড়ার খালটি সানি ফিড নামে একটি ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ মাটি দিয়ে ভরাট করে ওই স্থানে সানি ফিডের শেড নির্মাণ করেন। কতিপয় কৃষকের আবাদী বোরো জমি ক্রয় করে ওই সব জমিতে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের সানির মোড় হতে মামারিশপুর সড়কের সিংড়া খালের উপর অনুমান ৩০/৪০ ফুট দৈর্ঘের পাকা সেতুটি গুরুত্বহীন হয়ে পরবে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।

সরজমিন দেখাযায় ধামশুর সিংড়া ব্রীজের উত্তরে বিলের মাঝখানে মাটি ফেলে এস্কেভেটর দিয়ে ভরাট কাজ চলছে। কয়েক বছর আগেও শুকনো মৌসুমে এখানে  বোরো ধানের ক্ষেত ছিল।   ধামশুর গ্রামের আহেদ আলীসেখ (৭৫) জানান তিনি ১৫ কাঠা জমিতে বোরো আবাদ করেছেন ফ্যাক্টরীর মাটি ভরাটের কারনে শত বছরের খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে কোন সময় মৌসুমী বৃষ্টি হলে তাদের বোরো ধানের ক্ষেত পানির নীচে তলিয়ে যাবে। 

এতে তারা বোরো ধান ঘরে তুলতে পারবেন না। একি গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া (৬০) জানান সিংড়া বিলের সরকারী খাল ও হালটের জমি ভরাটের কারনে উজানের প্রায় শতাধিক কৃষকের বোরো ফসল হুমকির মুখে পরবে।   জালের কাঠি ও মাচা গুলি খালের মুখে স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে।

হতাশার সুরে আরও জানান উজানের হাজির বাজার, মামারিশপুর,ধামশুর ও গাদুমিয়া এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বর্ষার অতি বর্ষণের পানি সিংড়া ব্রীজের নীচ দিয়ে  এ খাল হয়ে ভালুকার খীরু নদীতে নামায় জলাবদ্ধতা হতে কৃষকের বোরো ধান রক্ষা পেতো। খালের উপর ব্রীজটি বিদ্যমান থাকলেও ব্রীজের উত্তরে ধানি জমি সহ খাল ভরাট হওয়ায় উজানের পানি নামার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফ্যাক্টরী কর্তৃপক্ষ বিলের পশ্চিম কিনার ধরে একটি সরু খালের মত রাখলেও তাতে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই । 

কৃষকদের দাবী ওই বিলে মাটি ভরাট করে সম্পূর্ন বন্ধ হওয়া পূর্বে খালটি প্রশাাসনের মাধ্যমে সঠিক তদন্ত পূর্বক পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নিবেন।  দীর্ঘদিন যাবৎ একটি ফ্যক্টরী কর্তৃক ও খাল সহ  বিলের ফসলী জমি ভরাট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে উজানে জলাবদ্ধতা সহ শত শত কৃষকের বোর ধান নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। জলাশয় অইন সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকি না থাকায় এক শ্রেণীর মধ্যসত্ব ভোগিদের সহায়তায় প্রভাবশালীরা ইচ্ছেমত জলাশয় ও ফসলি জমি ভরাট করে চলেছে। নির্বিচারে ফসলী জমি খাল বিল জলাধার ভরাটের কারনে একসময় প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্রের উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে বলে সচেতন মহল ধারনা করছে । এ সবের প্রতিবাদে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ভালুকা আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে মানব বন্ধন কর্মসূচী সহ স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।    

যাযাদি/এস