রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীতে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ৬ ডাকাতের মধ্যে আমিনুল মৃধার (২৮) বাড়ি উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের কাছে। তার বাবার নাম ইকবাল মৃধা। আমিনুল নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। শনিবার (০৮ মার্চ) তাদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হলে বিষয়টি জনসম্মুখে আসে।
ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল এর আগেও একাধিক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর আমিনুলসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতির ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতা ছিল এই আমিনুল। এমনকি পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জবানবন্দিতে অস্ত্রের যোগানদাতা হিসেবে নিজের নাম উল্লেখ করে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমিনুল দিনের বেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও রাতের বেলায় হয়ে উঠতেন দুর্ধর্ষ ডাকাত। আমিনুল আন্তঃবিভাগীয় ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য।
বাউফলে তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় পেতেন। তার সাথে সাবেক চীফ হুইপ ও বাউফলের সাবেক এমপি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজসহ তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ছিল দারুণ সখ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আমিনুলের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের অনেক ছবি দেখা গেছে।
এর মধ্যে কয়েকটি ছবিতে সাবেক এমপি আ স ম ফিরোজ, জেলা আ.লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজ পুত্র রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লার সাথে আমিনুলকে বিশেষ মুহূর্তে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, আমিনুল পেশাদার ডাকাত এবং তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।