২০০৪ সালে এসএসসি পাশ করে কর্মের সন্ধানে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করেন। এর পাশাপাশি এলাকার বেকার মানুষের কর্ম নিয়ে ভাবেন তিনি। পোশাক কারখানায় কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করে নিজ এলাকায় আর এস ফ্যাশন নামের ক্ষুদ্র একটি পোশাক কারখানা গড়ে তোলেন। যেখানে ২০ জন লোকের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এলাকার শ্রমিকরা এই পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করে খুশি।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরাহাট বন্দরের পাশে কেলু হাসপাতালের সামনে জিন্স প্যান্টের কারখানা গড়ে তুলেছেন অনন্তপুর গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে আবু শাহীন মিয়া।
এই কারখানায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ জন্য মানুষের কর্মসংস্থান মিলেছে। সময়মতো বেতন-ভাতা পেয়ে শ্রমিকরাও খুশি।
স্থানীয়রা জানায়, শাহীন মিয়া প্রথমে ১০টি মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর কারখানায় মোট ২০টি মেশিনে শ্রমিক কাজ করেন। এলাকার বেকার অসহায় মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন শাহীন। শ্রমিকরা বাড়িতে খেয়ে চাকরি করছেন। এতে কোম্পানি এগিয়ে যাচ্ছে এবং শ্রমিকদেরও সংসার চলছে।
সরেজমিনে কারখানার নারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এই কারখানা আমরা ঢাকা শহর মনে করি। কারণ ঢাকায় গিয়ে চাকরি করতাম পরিবার ছেড়ে অনেক কষ্ট হতো। বর্তমানে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে খেয়ে চাকরি করছি। সময় মতো বেতন-ভাতা পাচ্ছি।
আর এস ফ্যাশন এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু শাহীন মিয়া জানান, স্কুল লাইফ থেকেই বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা ভাবনা করি এবং গ্রামের মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চাই কিন্তু অর্থের অভাবে সম্ভব হয় না। বিগত কুড়ি বছর ঢাকার চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করে টাকা জমিয়ে ১০টি মেশিন দিয়ে জিন্স প্যান্ট এর পোশাক কারখানায় শুরু করি। মাত্র ৬ মাসে ২০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, দিন দিন শ্রমিক এবং মেশিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে আমার এই পোশাকের অনেক চাহিদা রয়েছে। আশপাশের কয়েকটি জেলা এবং উপজেলায় জিন্স প্যান্ট পাইকারি বাজারে আমদানি করা হচ্ছে। দক্ষ কারিগর দিয়ে নিখুঁতভাবে পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। এলাকার বেকার ও কর্মহীনরা কাজ করতে পারবে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :