ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

আদমদীঘিতে তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার আদমদীঘিতে পৃথক ঘটনায় গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে গৃহবধু সম্পা বেগম (১৮), বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে ভ্যানচালক আব্দুস ছালাম (৩৫) ও ট্রেনে কাটা পড়ে রেলওয়ে কর্মচারী খালাসি ছায়ফুল ইসলাম (৩৮) এর
অস্বভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

এসব মৃত্যুর ঘটনায় আদমদীঘি ও সান্তাহার রেলওয়ে থানায় পৃথক ইউডি মামলা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আদমদীঘির সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনী এলাকার এনামুল হকের স্ত্রী সম্পা বেগম শয়নঘরের তালার তীরের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বগুড়া মহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

একই দিন বেলা ১২টায় আদমদীঘির সুদিন গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুস ছালাম বাড়িতে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ্য হয়।  এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সন্ধ্যায় সে মারা যায়।

অন্যদিকে রোববার (৯মার্চ) বিকেল ৩টায় আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রাম রেলওয়ে গেটের নিকট রেলওয়ে খালাসি সান্দিড়া গ্রামের ছায়ফুল ইসলাম রেললাইনের পাথর টানার পর কাজ করার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায়।

স্থানীয়রা জানান, রেললাইনে কাজ করার সময় পাশে একটি ট্রাক্টরের শব্দের কারনে ট্রেন আসার শব্দ শুনতে না পেয়ে ছায়ফুল ইসলাম ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

আদমদীঘি থানার ওসি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান ও সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি হাবিবুর রহমান মৃত্যুর বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।