জেলেদের হামলায় নৌ-পুলিশসহ আহত ৪, আটক ১৩

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ১০:১৩ এএম

জেলেদের হামলায় নৌ-পুলিশসহ আহত ৪, আটক ১৩

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ শিকার বন্ধে অভিযানের সময় হামলা চালিয়ে নৌ-পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে । পরে নৌ-পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জেলেকে আটক করে। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করে।

রোববার (৯ মার্চ) রাতে মজু চৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে দুপুরে আটক জেলেদেরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় সদর মডেল থানা পুলিশ।

আহতরা হলেন- নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সোহেল আহমেদ, নায়েক সুকুমার রায়, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর হোসেন ও তাদের ট্রলার মাঝি জামাল হোসেন।

নৌ-পুলিশ জানায়, শনিবার (৮ মার্চ) রাতে সদর উপজেলায় মেঘনা নদীর সাহেবের চর এলাকায় মাছ শিকার করছিল জেলেরা। খবর পেয়ে নৌ-পুলিশের একটি দল অভিযানে যায়।

এ সময় জেলেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করে। জেলেদের হামলায় সোহেলসহ ৩ জন নৌ-পুলিশ সদস্য ও ট্রলার মাঝি আহত হয়। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জেলেকে আটক করে। এসময় চারটি নৌকা ও ৫৩১ মিটার কারেন্ট জাল ও ১৮ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মজু চৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ পরিদর্শক) সোহেল আহমেদ বলেন, আটক জেলেদের নামে সদর থানায় জাটকা ইলিশ সংরক্ষণ আইন, পুলিশের ওপর হামলাসহ পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। আদালত গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা কারাগারে পাঠায়।

সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে জাটকা ইলিশ রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস মেঘনা নদীতে সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা পালনে নদীতে অভিযান চালাচ্ছে মৎস্য অফিস এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

আরবি/জেডআর

Link copied!