টাঙ্গাইলে মানসিক ভারসাম্যহীনদের আবাসন করার নামে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের বাড়ি দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় সেই নারী সমন্বয়ক ও ছাত্র প্রতিনিধি মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মারিয়াম মোকাদ্দেস মিষ্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের শাহ আলমাসের স্ত্রী। তবে তিনি বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ায় বসবাস করছেন ৷
এর আগে এ ঘটনায় রোববার রাতে সাবেক এমপি`র স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিষ্টিকে এক নাম্বার আসামি ও অজ্ঞাত আরও ৭-৯ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে ভবনে প্রবেশ করেন ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারিয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বাড়িটি দখলমুক্ত করে।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে মুচলেকা দিয়ে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল ৷
এদিকে রোববার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে নিয়ে দখল করা মানসিক ভারসাম্যহীনদের ময়মনসিংহ ও গাজীপুরের সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ বলেন, মামলার পর শহরে অভিযান চালিয়ে মিষ্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ সোমবার তাকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে৷ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :