রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে দালালদের মাধ্যমে জমা দেওয়া ফাইলের কাজ আগে করা, টাকা নেওয়া ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ তদন্তের পর বদলি করা হয়েছে রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক রোজী খন্দকারকে। পাসপোর্ট মহা-পরিচালক মেজর জেরারেল মো. নূরুল আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরিশালে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে বরিশালের উপ-পরিচালক আবু নোমান মো. জাকের হোসেনকে পদায়ন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর বুধবার সকালে নগরের শালবাগান এলাকায় বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সামনে ‘ভুক্তভোগী রাজশাহীর সাধারণ জনগণ’র ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।
পরে তারা কার্যালয়টির উপ-পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানান এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন। সমস্যা সমাধান করা না হলে আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নামে মামলা আবেদন দেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মঈনুল হোসেন সাঁটলিপিকার কাম-কম্পিউটার অপারেটর নাজমুল হোসেন রাজশাহীতে এসে তদন্ত করে যান।
এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক একেএম মাজহারুল ইসলাম বলেন, তিনি আর সেখানে নেই। তালে বদলি করা হয়েছে। তিনি এখন বরিশালে অফিস করেন। তবে কী কারণে বদলি করা হয়েছে সেটি বলা যাচ্ছে না।
এদিকে রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক রোজী খন্দকারকে বদলি করায় খুশি রাজশাহীর সুশীল সমাজ।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, আমরা সেখানে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, রোগী ও হজ করা ব্যক্তিদের ব্যাপকভাবে হয়রানি করছেন। এটি আমরা জেনে মানববন্ধন শেষে সাক্ষাতে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্টের ডিজির কাছে সে মিথ্যা অভিযোগ তুলে। তখন ভুক্তভোগীসহ সবাই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকে। আমরা তাকে শাস্তির দাবিতে একমাস আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সরকার ও পাসপোর্টের ডিজি রাজশাহী মানুষের প্রতি সম্মান দেখিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাকে অন্যত্র বদলি করায় আমরা সরকার ও ডিজির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।