ঢাকা সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

৫২ বছরেও বিচার পায়নি ৪ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৩:২৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের চার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস আজ। কোটালীপাড়ার টুপুরিয়ায় কমিউনিস্ট নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা কমরেড ওয়ালিউর রহমান লেবু, ন্যাপ নেতা কমলেশ বেদজ্ঞ, ছাত্র ইউনিয়নের বিষ্ণুপদ কর্মকার ও রমপ্রসাদ চক্রবর্তী মানিকের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সোমবার (১০ মার্চ) নিহতদের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও বিচারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মরকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির গোপালগঞ্জ জেলা কমিটি।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ন্যাপ (মোজাফফর) মনোনীত সিপিবি ছাত্র ইউনিয়ন সমর্থিত কোটালীপাড়া আসনের প্রার্থী কমরেড কমলেশ বেদজ্ঞ, কমিউনিস্ট নেতা ওয়ালিউর রহমান লেবু, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা গোপালগঞ্জের সহ-সভাপতি বিষ্ণুপদ কর্মকার, ছাত্র ইউনিয়নের কোটালীপাড়া থানা কমিটির তৎকালীন প্রচার সম্পাদক রামপ্রসাদ চক্রবর্তী মানিক।

নির্বাচন শেষে কোটালীপাড়া হতে ১০ মার্চ সকালে পায়ে হেঁটে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। পথিমধ্যে টুপুরিয়া এলাকায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এই চার নেতার ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়। মামলার বর্তমান বাদী কমলেশ বেদজ্ঞের মেয়ে সুতপা বেদজ্ঞ। মামলার ৫২ বছরেও আসামিরা রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে নিম্ন ও উচ্চ আদালতের বিচার কাজ বাধাগ্রস্থ করছে।

সর্বশেষ ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট আসামিদের মামলা স্থগিত আবেদন খারিজ করে দেন। ২০২৩ সালের ১২ জুলাই মামলার নথিপত্র গোপালগঞ্জ স্পেশাল ট্রাইবুনাল আদালতে পাঠানো হলেও এখনো তা আদালতে পৌঁছায়নি। সকল তথ্য প্রমাণ থাকার পরেও তথ্য-প্রমাণের অভাবের অজুহাতে এই হত্যাকান্ডের বিচার হয়নি।

অধ্যক্ষ মহম্মদ আবু হোসেন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্য বিলোপের এক নতুন বাংলাদেশ বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস করি। এবং নতুন এই প্রেক্ষাপটে চারজন মুক্তিযোদ্ধার হত্যার বিচার শেষ করতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।