গজারিয়ায় সৎ মায়ের পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে সন্তানের ধস্তাধস্তি

গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম

গজারিয়ায় সৎ মায়ের পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে সন্তানের ধস্তাধস্তি

ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সৎ মায়ের পরকীয়া প্রমিকের সঙ্গে হাতাহাতি দস্তা-দস্তি সৎ সন্তানের।গেল শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আটায় রমজান মাসে যখন সবাই তারাবি নামাজ পড়তে শুরু করেছে ঠিক তখনি পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের প্রেমিক মোঃ গাফ্ফার (৩৬) প্রেমিকার শারমিন (৩৫) এর সঙ্গে দেখা করতে আসেন।

ঠিক তখনি শারমিনের দেবর টের পেয়ে ভাতিজা সাজ্জাদকে দোকান থেকে ডাক দিয়ে নিয়ে আসলে বাড়ির গোসল খানায় অপ্রীতিকর অবস্থায় মায়ের অনৈতিক কর্মকান্ডের সময় পরকীয়া প্রেমিককে আটকাতে যায় সাজ্জাদ (২২) ও তার চাচা তাবারক (৪০)। তখন পরকীয়া প্রেমিকার সন্তানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক এর দস্তা-দস্তি এর এক পর্যায়ে প্রেমিক দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে চাচা একটি শুকনো গাছের সরু ডোম দিয়ে ভাবির পরকীয়া প্রেমিককে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারে। 

এমন চঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও গ্রামে। অভিযোগ ওঠা উক্ত পরকীয়া প্রেমিকা শারমিন আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক গাফ্ফারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। প্রায় গাফফার তার পরকীয়া প্রেমিকা শারমিনের বাড়িতে আসতো নানা অজুহাতে।

সাজ্জাদ জানায়, আমার সৎ মায়ের পরকীয়ার বিষয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতো আমি কখনো কিছু দেখিনি, তাই কিছু বলিনি। বাড়ির পাশে শনিবার রাতে আমি দোকানে ছিলাম।হঠাৎ আমার চাচা বললো, আমার সঙ্গে দ্রুত আয়, আমিসহ দোকানে বসা আমার বন্ধুকে কাকার সঙ্গে নিয়ে বাড়ির দিকে আসতে থাকি।

বাড়িতে এসে দেখতে পাই আমার সৎ মায়ের সঙ্গে গাফফার গোসল খানায় ভিতরে। আমাদের আওয়াজ পেয়ে গাফফার দৌড় দিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে তাকে আমি আটকাতে চেষ্টা করি। তার সঙ্গে আমার দস্তাদস্তির এক পর্যন্ত গাফফার আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দেয়। ঐ সময় গাফফার তার পায়ের জুতা রেখে গেছে।

সাজ্জাদের  চাচা মো. তাবারেক আলী (৪০) জানায়, আমি রাস্তা দিয়ে আশার সময় সড়কের পাশে একজনকে দেখতে পাই। আমি আসতেছি দেখে সে প্রসাব করার অভিনয় করে রাস্তার পাশে বসে পড়ে। আমি আগেই সন্দেহ করতাম ভাবির সঙ্গে গাফফারের সম্পর্ক তবে কোনো প্রমাণ ছিল না সে জন্য ভাবিকে বলে কোনো সঠিক সমাধান পেতাম না। পরে আমি বাড়ি এসে অন্য রাস্তা দিয়ে দোকানে গিয়ে ভাতিজাকে নিয়ে এসে গোসল খানায় দেখি এ ঘটনা। 

এ বিষয়ে রুপালী বাংলাদেশকে শারমিন জানায়, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। গাফফার সম্পর্কে আমার উকিল চাচা হয়। চাচার সঙ্গে কি এগুলো করা যায়। চাচা রাতে এখানে আসেনি। শুধু শনিবার দুপুর বেলা আমি চার বালুর গদির ওখানে গেলে চাচা সঙ্গে কথা হয়।চাচা জিজ্ঞেস করে কবে বাপের বাড়ি থেকে আসছি। এ ছাড়া বাকি সব গুজব ছড়িয়েছে আমার সৎ ছেলে আর আমার দেবর তাবারক সহ বাড়ির মানুষ।

এ বিষয়ে রুপালী বাংলাদেশকে গাফফার জানায়, আমি সেখানে যাইনি, আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। আমি আ.লীগ করতাম। সে জন্য একটি মহল আমার ব্যবসা করতে দিবেনা বলে এগুলো প্রচার করছে। শারমিন সম্পর্কে আমার ভাতিজি হয়। আমার বড় ভাই এর উকিল মেয়ে হয়। তার সঙ্গে আমার কোনো খাবার সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে টেংগারচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসিম মেম্বার জানায়, গাফফারের পরিবার আগে থেকে খারাপ, গাফফারের বড় ভাইয়ের চরিত্রেও সমস্যা রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি হয়া দরকার।

এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজাদ জানায়, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ কিংবা অবহিত ও করেনি কেউ। অভিযোগ পেলে আইন আনুক ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েন।

আরবি/আবু

Link copied!