একটি বাড়িতে ইজিবাইক চুরির সময় স্থানীয় ব্যক্তিদের হাতে আটক হন রিফাত বিন সাজ্জাদ নামের এক যুবক। স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে তুলে দেন। পরে তার মোবাইলে এক তরুণীকে বেঁধে রাখা ও নির্যাতনের ভিডিও খুঁজে পায় পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে অজ্ঞাত ওই তরুণীকে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনা।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুনসী তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। গ্রেপ্তার রিফাতের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকায়। সে ওই এলাকার আকতার হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৪ জানুয়ারি জেলার আটোয়ারী উপজেলার কিসমত এলাকায় রেললাইনে একটি অজ্ঞাত নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ড হলেও এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারছিল না পুলিশ। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ঠাকুরগাঁয়ের ভুল্লি এলাকার একটি পরিবার তাদের মেয়ে মনে করে মরদেহ গ্রহণ করে দাফন সম্পন্ন করেন।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানায় ধর্ষণের পর হত্যা ও চুরির দুটি মামলা হয়েছে। রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরও আসামি সাজ্জাদ একের পর অপরাধ কর্ম চালিয়ে যেতে থাকে। গত ৮ মার্চ রাতে আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর এলাকার তাহিরুল ইসলামের বাড়িতে ইজিবাইক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে সাজ্জাদ। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উত্তমমাধ্যম দেয়। এ সময় তার মোবাইলে একটি নারীকে বেঁধে রাখার ভিডিও দেখতে পায় তারা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অজ্ঞাত ওই নারীকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়।
সে জানায়, তার মাকে নিয়ে গালি দেয়ায় তাকে প্রথমে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। পরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে চাকু দিয়ে কেটে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহ ফেলে দেয়া হয় রেললাইনে।
আপনার মতামত লিখুন :