নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় গরুর খামারের পাহারাদার মো. জয়নাল মিয়াকে (৬৫) হত্যা করে সাতটি গরু লুটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাহেব আলী পাঠান, সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) আল-ইমরানুল আলম, দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (পূর্ব) সাইদুর রহমান, ওসি (পশ্চিম) আরমান আলীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন—উপজেলার দুর্গাশ্রম রামবাড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে দোলন মিয়া (২৮), শুকনাকুড়ি রামবাড়ি এলাকার মহর আলীর ছেলে আবদুল মান্নান (৪২) এবং একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে ও কাকৈরগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল আউয়াল (৩২)।
নিহত জয়নাল মিয়া দুর্গাপুর উপজেলার পুকুরিয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি গত দুই মাস ধরে স্থানীয় হাবিবুল্লাহর গরুর খামারে পাহারাদার হিসেবে কাজ করছিলেন। সেখানে আরও দুজন কর্মচারী কর্মরত ছিলেন।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে হেলাল নামের এক পাহারাদার দিনের দায়িত্ব শেষ করে জয়নালকে রাতের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে হেলাল কাজে ফিরে এসে জয়নালের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিতে গেলে ঘরের খুঁটির সঙ্গে তার হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা ও ডাকাতির মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আটজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে দোলন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন বিকেলে আবদুল মান্নান ও আবদুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :