চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র পানি সংকটের প্রতিবাদে ওয়াসা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দামপাড়া ওয়াসা কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পানির অনিয়মিত সরবরাহের কারণে ক্ষুব্ধ মানুষ নানা স্লোগান দেন এবং দ্রুত সমাধানের দাবি জানান।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানির সংকট চলছে, যা রমজানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
ধনিয়ালাপাড়ার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত পানি পাচ্ছি না। শনিবার থেকে পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ বন্ধ ছিল। প্রায়ই পাইপলাইন ফেটে যায়, ফলে আমাদের তীব্র সংকটে পড়তে হচ্ছে।
আরেক বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘ওয়াসার পানির অভাবে বাসাবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছে। পানি না থাকায় দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এই সংকট থেকে মুক্তি চাই।’
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, শনিবার রাত ৮টার দিকে নগরীর সাগরিকা এলাকায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)-এর উন্নয়নকাজ চলাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ভুলে ওয়াসার প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে আগ্রাবাদসহ অন্তত ১৮টি এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, মাটির প্রায় ১৫ ফুট নিচে থাকা প্রধান সঞ্চালন লাইনের একটি পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে আশপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে।
বিক্ষোভকারীরা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশার কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দ্রুত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ সময় ওয়াসা কর্তৃপক্ষ নাগরিক দুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং সন্ধ্যার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, পিজিসিবির উন্নয়নকাজ চলাকালে সাগরিকা মোড়ে ওয়াসার ১১০০ এমএম ব্যাসের প্রধান সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রমজানের আগে একবার বড় ধরনের ক্ষতির পর সাত-আটদিন লেগেছিল মেরামত করতে। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা আশা করছি, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে পাইপলাইন মেরামত করে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।