বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাহরির সময় পুকুর থেকে মাছ লুটের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১১জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। থানা পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে গত সোমবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মাছ চাষি।
এরআগে গত শনিবার ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোছন এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের পুকুরে মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা গামা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
থানায় দেওয়া অভিযোগে জানা গেছে, গোছন এলাকার পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করছেন আব্দুল কুদ্দুস আকন্দ। আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা গামার নেতৃত্বে গত শনিবার সাহরির সময় প্রতিপক্ষ আনোয়ার, হাকিম, ভুট্টু, আজিজুল, মুঞ্জু মিয়াসহ চিহ্নিত ১১জনের উপস্থিতিতে অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন ব্যক্তি হাতে ধারালো অস্ত্রে একত্রিত হয়ে কুদ্দুসের চাষকৃত পুকুরে বেড়-জাল ফেলে। বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় সোয়া লাখ টাকার ১৫/১৬ মন মাছ লুট করে নিয়ে যায়। মাছ চাষি কুদ্দুসের পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারমুখী আচরণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বিবাদীরা।
পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, থানায় অভিযোগ করা হলেও আইনগত পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। থানার দুই এসআইকে কল দিলে তারা রিসিভ করেন না। মাছ লুটে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাসহ বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী মাছ চাষি।
এ ব্যাপারে থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা হচ্ছে। বেআইনি ভাবে কেউ পুকুর থেকে মাছ ধরে নিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।