মৌলভীবাজারের বড়লেখাতে মসজিদের জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ মার্চ) উপজেলার ১০ নং দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম গাংকুল গ্রামের ফাতেমা জামে মসজিদের জায়গা ভরাটের জেরে মুসল্লিদের ওপরে অপর পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ৬ জনের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সবাই একই মসজিদের মুসল্লি, মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহতে মাটি ভরাটের কাজ চলছিলো। মাওলানা আপ্তাব উদ্দিন বর্তমানে ফাতেমা জামে মসজিদের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সোমবার (১০ মার্চ) জোহরের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদ যান, এরপর মাটি ভরাটের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কি না তা তদারকি করছিলেন, ঠিক তখনই মাটি ভরাটের কাজে বাধা দেন অপর পক্ষের নূর উদ্দীন। তখন মাওলানা আপ্তাব উদ্দিন প্রতিবাদ করায় নূর উদ্দীন দেশীয় অস্ত্রসহ এগিয়ে আসেন সেখানে মসজিদের মুসল্লি তাৎক্ষণিক দু`জনকে সরিয়ে নেন। এরপর তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে জোহরের নামাজ পড়ে যার যার কর্মস্থলে চলে যান। এর জের ধরে আছরের নামাজের পর নূর উদ্দীন ১০-১২ জন নিয়ে মসজিদের মুসল্লিদের ওপর সংঘর্ষ চালায়।
এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাসায় রয়েছেন এবং ইমরুল ইসলাম (২৮) ও লোকমান আহমদ (৩৮) এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টা চলমান রয়েছে।