নাটোরের নলডাঙ্গায় আগুনে চারটি টিনশেড ঘর পুড়লেও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে কোরআন শরীফ। এনিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
ঘরের টিন থেকে শুরু করে আসবাবপত্র পুড়ে প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় পরিবারটির। সবকিছু পুড়ে গেলেও কোরআন শরিফের একটি অক্ষরও পোড়েনি। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার বুড়িরভাগ বিলপাড়ায় রাতে আগুনে বসতবাড়ির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফার্য়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর কোরআন শরীফটি অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে কোরআন শরীফটি সংরক্ষণে রেখেছেন বাড়ির বাসিন্দারা।
বাড়ির বাসিন্দা মনির হোসেন,মোছাঃ ফাতিমা জানান,বাড়ির সব কিছু পুড়ে গেলেও এই কোরআন শরীফের এক অক্ষরও পোড়েনি। কোরআন শরীফের চতুর্দিকের প্রান্তে সাদা অংশে কিছুটা কালো দাগ হয়েছে। কোরআন শরীফটি একনজর দেখতে ভিড় করছেন স্থানীয় লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শী লতিফুর রহমান,কামরুল ইসলাম বলেন,আগে অনেক শুনেছি কিন্তু আজ বাস্তবে দেখলাম, কোরআন শরীফ আগুনে পোড়ে না। আল্লাহ তার এই কুদরতি হাত দিয়ে এই পবিত্র গ্রন্থ রক্ষা করেছেন।
নলডাঙ্গা থানা মসজিদের ইমান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, পুরো ঘর পুড়লেও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে কোরআন শরীফ অক্ষত রয়েছে। পবিত্র কোরআন শরীফ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা নিরাপদে রাখেন,এটাই বাস্তব।
উল্লেখ্য,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, উপজেলা প্রসাশন, উপজেলা বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।