ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫

একপক্ষের কাঁচা ধান কেটে নিয়ে গেল বিএনপির অন্যপক্ষ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক পক্ষের জমির কাঁচাধান কেটে নিয়েছেন অন্য পক্ষের নেতারা। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের কাউয়াজুরি এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার ও গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঠাকুরভোগ গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর মিয়া ও তার মামাতো ভাই সিলেট জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শিহাব খানের সঙ্গে ইউনিয়ন আ’লীগের সহ-সভাপতি সুফি মিয়া ও উপজেলা আ’লীগের সদস্য আবদাল মিয়ার লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছিল।

২২ ফেব্রুয়ারি গ্রাম্য শিরনির আয়োজন ও বাড়ির পাশের রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র কর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্র শুরু হয়। ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।

সে সময় ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন।

তবে সম্প্রতি প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে বিএনপি নেতা নূর মিয়া ও শিহাব খানের লোকজন প্রতিপক্ষ সুফি মিয়া ও আবদাল মিয়ার পক্ষের শিবলু মিয়ার দেড় বিঘা জমির বোরো ধান কাঁচা অবস্থায় কেটে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই ধান আবার গরু দিয়েও খাওয়ানো হয়েছে।

শিবলু মিয়ার পক্ষের লোকেদের থেকে জানা যায়, গ্রেপ্তার ও প্রতিপক্ষের ভয়ে আমরা বাড়ি ছাড়া। অনেকে বর্তমানে একটি প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এই সুযোগে নুর মিয়া ও শিহাব খানের লোকেরা আমাদের বাড়িঘরে হামলা করছে। হাওর থেকে জমির কাঁচা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে ছাত্রদল নেতা শিহান খান বলেন, হাওরে কাঁচা ধান কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। হয়তো কারো গরু ধান খেয়েছে বা হাওরে ঘাস কাটতে যাওয়া লোকেরা ধান কেটে নিয়ে গেছে। আমাদের কেউ তাদের কাঁচা ধান কেটে আনেনি।

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. আকরাম আলী বলেন, বোরো জমির কাঁচা ধান গাছ কেটে নিয়েছেন বিএনপি নেতা ও তার স্বজনরা বলে শুনেছি। ঠাকুরভোগ গ্রামের মসজিদের টাকাসহ নানা বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে গেল মাসে মারামারি হয়েছে। দু’পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।